Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শবরীমালার পর এখন চোখ অগস্ত্য মুনির পাহাড়ে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:৪৬ পিএম

প্রবল বাধাকে অগ্রাহ্য করে কেরালার শবরীমালা মন্দিরে ২ জানুয়ারি ঢুকে পড়েন দু’জন মহিলা। এই প্রবেশের পরই শবরীমালা বিতর্কে লেখা হয় নতুন ইতিহাস। শবরীমালা জয়ের পর এবার নতুন ইতিহাস গড়ার চলেছেন কেরালার মহিলারা। সেই ইতিহাস লেখা হবে, যখন তিরুঅনন্তপুরমেরনেইয়ার অভয়ারণ্যের অগস্ত্যকুদম পাহাড় চূড়ায় প্রথমবারে জন্য পা রাখবেন কোনও মহিলা।
কেরালা ও তামিলনাড়ুর সীমান্তে নেইয়ার অভয়ারণ্যে রয়েছে অগস্ত্যকুদম পাহাড়। মালয়লাম ভাষায় এটিকে অগস্ত্যমালাও বলা হয়ে থাকে। এক হাজার ৮৬৮ মিটার উঁচু এই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে অগস্ত্য মুনির মূর্তি। যদিও কোনও মন্দির এখানে নেই। কেরালার কানি সম্প্রদায়ের মানুষ অগস্ত্য মুনিকেই নিজেদের আরাধ্য দেবতা বলে মানেন।
প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি থেকে অগস্ত্য মুনিরপুজোর উদ্দেশ্যে এই পাহাড়ে যাত্রা করেন প্রচুর মানুষ। পাহাড়ে ওঠার জন্য পেরোতে হয় ২৫.৫ কিলোমিটার পথ। এই ট্রেক চলে ৪১ দিনে ধরে। প্রতিদিন ১০০ জন করে ভক্ত রওনা দেন অগস্ত্যমালার উদ্দেশে। প্রতি বছর মোট ৪ হাজার ১০০ জন সুযোগ পান এই পাহাড় চূড়ায় ওঠার। কিন্তু এতদিন এই পাহাড়ে ওঠার অনুমতি পেতেন শুধু পুরুষরা। অগস্ত্যকুদমে ওঠার বেসক্যাম্প আথিরামালার পর যেতে দেওয়া হত না কোনও মহিলাকে।
দীর্ঘদিনের এই পরিস্থিতি এ বার বদলাতে চলেছে। এর সৌজন্যে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে কেরালা হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায়। সেখানে বলা হয়, এই ট্রেকের অনুমতির দেওয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্গভেদ করা চলবে না। এই রায়ের পর শনিবার থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে কেরালা বন বিভাগ। আবেদন শুরু হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় সমস্ত বুকিং।
অগস্ত্যকুদম ক্ষেত্র কানিক্কর ট্রাস্টের সভাপতি মোহনন ত্রিবেদি জানিয়েছেন, ‘আমরা কানি সম্প্রদায়ের মানুষরা অগস্ত্য মুনির পুজো করি। বহুদিনের ঐতিহ্য ও প্রথা মেনেই আমাদের মহিলারা সেখানে যান না। কিন্তু আমরা হাইকোর্টের আদেশ মেনে চলব।’
তিরুঅনন্তপুরমের বন্যপ্রাণের ওয়ার্ডেন শাজি কুমার বলেছেন, ‘আবেদনগুলি প্রক্রিয়াকরণের পরই সঠিকভাবে বলা সম্ভব মোট কত জন মহিলা অগস্ত্যমালায় যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তবে মহিলাদের জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে না। আর পাঁচ জনের মতোই কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে যেতে হবে তাদের।’ আবেদনকারীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা যাচাই করে তবেই ট্রেকের অনুমতি দেওয়া হয়। তাই কত জন মহিলাকে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয় সেটাই এখন দেখার। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ