পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘদিন যাবত ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। খানিকটা হারিয়েছিলেন স্মৃতিশক্তিও। তবুও গোটা পরিবার-স্বজন-সহকর্মী রাজনীতিকরা বুক বেঁধেছিল আশায়। আবারো সুস্থ হয়েই রাজনীতিতে ফিরবেন ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন ভাবমর্যাদার রাজনীতিক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিন্তু মৃত্যুর দূয়ার থেকে ফেরা হলো না তার। ৬৭ বছর বয়সেই জীবনাবসান হলো আওয়ামী লীগের টানা দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী’র।
জীবনের শেষ মুহুর্তগুলোতে কেমন ছিলেন বিত্তবৈভবের রাজনীতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের এই জ্যেষ্ঠ পুত্র?
বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ব্যাংককের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় তার শয্যাপাশে ছিলেন একমাত্র মেয়ে রিমা ইসলাম, ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম, স্ত্রী নাজমা ইসলাম ও তার দুইবোনসহ পরিবারের অন্য স্বজনেরা।
শোক বিহ্বল সৈয়দ আশরাফের ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম বুধবার (০২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা থেকে ব্যাংককের ওই হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছেন। এদিন রাত সোয়া ১১ টার দিকে ব্যাংককের হাসপাতাল থেকে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন সৈয়দ শাফায়েতুল।
বোবা কান্নার পাষাণভারে স্তব্ধ শাফায়েতুল বলেন, ‘মৃত্যুর আগে বড় ভাই নিস্তেজ ছিলেন। আমি হাসপাতালে এসে তাকে নিস্তেজ অবস্থাতেই পেয়েছি। কোন কথা বলতে পারেননি। তার মেয়েসহ আমরা সবাই পাশে ছিলাম। আমাদের চোখের সামনেই চিরদিনের জন্য চোখ বন্ধ করলেন। আর কখনোই ভাইকে পাবো না আমরা।’
সৈয়দ আশরাফের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক সৈয়দ আশরাফের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর রেখেছেন। তার (প্রধানমন্ত্রী) প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদে এখানকার অ্যাম্বাসেডর এসেছেন। তিনিও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
ওয়ান ইলেভেনে দলের কঠিন দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
পরবর্তীতে সৈয়দ আশরাফ টানা দুইবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।