পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
এবার পাঁচ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই পাঁচ রোহিঙ্গাকে মনিপুর সীমান্তে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে গত চার মাসে দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গা পরিবারকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠালো ভারত।
মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এদের বেশিরভাগই বসবাস করছে আশ্রয় শিবিরে। আবার অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে অনেককে রাখা হয়েছে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী উল্লেখ করে তাদের ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। ২০১২ সাল থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে কারাভোগ করা সাত রোহিঙ্গাকে গত বছরের ৪ অক্টোবর মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। এবার দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচজন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠালো দেশটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে একটি পাঁচ সদস্যের রোহিঙ্গা পরিবারকে বাসে করে সীমান্তে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ২০১৪ সালে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তানের পরিবারটিকে উত্তর-পূর্ব আসামে গ্রেফতার করা হয়। কারাদÐও দেয়া হয় তাদেরকে। এখন পরিবারটিকে বিতাড়িত করা হল।
আসাম পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ভাস্কর জয়তি মোহন্ত বলেন, ‘পাঁচ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সীমান্ত অতিক্রম করেছে’।
প্রথম দফায় সাত রোহিঙ্গাকে ভারত থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পর থেকেই ভারতীয় আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মনে বিতাড়নের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেসময় আসাম সরকার জানায়, তারা আরও ২৩ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবে। এরপরই ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ শুরু করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।