Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন নিয়ে ভারতীয় দ্য হিন্দুর সম্পাদকীয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

‘রোববারের সংসদীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল জয়লাভ করবে তা একরকম নিশ্চিতই ছিল। শেখ হাসিনা অত্যন্ত জনপ্রিয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক অগ্রগতির এজেন্ডা নির্ধারণ করে তার দল আওয়ামী লীগ প্রচারণায় প্রভাব রাখে। তবুও বিজয়ের ব্যবধান এমনকি তার সমর্থকদেরও অবাক করে দিয়েছে। ভারতের জন্য হাসিনার বিজয় ভাল খবর। নয়াদিল্লি ও ঢাকা তার নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও কৌশলগত সম্পর্ক গভীর করেছে। এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে, ২০১৯ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল কী হয় তা এ সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না’। ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্যা হিন্দুর গতকাল প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এসব মন্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘দলটির নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি জিতেছে। ২০১৪ সালে তারা যে ২৩৪টি আসন জিতেছিল তার চেয়েও এটি অনেক বেশি। সে সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচন বর্জন করেছিল। এবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলীয় জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে গেছে মাত্র ৭ আসন। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি রয়েছে। ফলাফল জানতে পেরে বিরোধী দলীয় জোটের নেতা কামাল হোসেন এটিকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ বলে ইলেকশন কমিশনের কাছে নতুন নির্বাচন দাবি করেন। রোববার ভোট শুরু হওয়ার পর ৪০টিরও বেশি বিরোধী প্রার্থী এই প্রতিদ্ব›িদ্বতা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সাজানো নির্বাচনের অভিযোগে। যাইহোক, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকে সমন্বিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মনিটরিং ফোরাম এবং সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রাথমিক মূল্যায়নে বলেছে যে, পূর্বেরটির চেয়ে এই নির্বাচন ‘অনেক বেশি অবাধ ও স্বচ্ছ’ ছিল। অতীতে, বাংলাদেশ দেখেছে নির্বাচন আয়োজনে সরকারের ব্যর্থতা, একটি বাতিল হয়ে আবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে, অন্যটি সহিংসতার মধ্যে বিলম্বিত হয়েছে। এবার নির্বাচন একবারেই অনুষ্ঠিত হল এবং ২০১৪ সালে ৫১% এর তুলনায় ৬৬% শতাংশে অংশগ্রহণের হারও বেশি ছিল’।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, ‘হাসিনার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। শুরুতে তাকে রাজনৈতিক বিভাজন ও সহিংসতা দমন করতে হবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সম্ভবত স্বচ্ছ নির্বাচন না করার অভিযোগ উৎরে যেতে পারবে। ভোটের দিন পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিরোধীদলীয় ওয়েবসাইটগুলোকে অপসারণ করা হয়, হাজার হাজার কর্মীকে জেলে রাখা হয় এবং বিএনপি সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করে রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এতই গুরুতর ছিল যে, নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে একজন এও বলেন যে, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। নির্বাচনে বিশ্বাস পুনঃস্থাপনের জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করা।’
এতে আরো বলা হয়, ‘হাসিনাকে বিরোধী দলের কাছে পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় তার সরকারের কর্তৃত্ববাদী চরিত্র দ্বারা হৃদয়গ্রাহী রেকর্ড মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিজয়টি হাসিনার পক্ষে তার পথচলা উন্নত, আরও সমন্বিত এবং আইনের শাসন, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার জন্য একটি সরকার চালানোর সুযোগ। ভারতের জন্য হাসিনার বিজয় ভাল খবর। নয়াদিল্লি ও ঢাকা তার নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও কৌশলগত সম্পর্ক গভীর করেছে। এটা অব্যাহত থাকবে, ২০১৯ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল কী হয় তা সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না’।



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:২২ পিএম says : 0
    তুমাদের জন্য কতনা খোশী এখন তুমরা সীমান্তে কত যে হত্যা করিবায়। আমাদের বৈঠানিও খোশী কত না হত্যা খোন গুম করিলো। পাপে কাহাকেও ছারিবে না, তুমাদের জন্য গজব আসিতেছে৷। ইনশাআল্লাহ। *********
    Total Reply(0) Reply
  • Aashiq Rahman ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    শেষ পর্যন্ত ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবলে...
    Total Reply(0) Reply
  • Kamruz Zaman ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
    গাড়ির সিটে বসে একটি লোক ধুমপান করছে। তার পাশের লোকটি সিটের উপরে "গাড়িতে ধুমপান করা নিষেধ" লেখাটা দেখিয়ে বলল ভাই এখানে তো ধুমপান করা নিষেধ। তখন ধুমপান করা লোকটি আরেকটি লেখা দেখিয়ে "গাড়িতে কোন অভিযোগ থাকলে ড্রাইভারকে অভহিত করুন " বলল যা বলার ড্রাইভারকে বলুন। তারপর লোকটি যখন ড্রাইভারের কাছে অভিযোগ করতে গেল তখন ড্রাইভার তার সিটের পিছনের লেখাটা দেখাল যেঃ গাড়ি চালানোর সময় ড্রাইভারের সাথে কথা বলা নিষেধ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abir Azad ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    বর্তমানের সাথে মিলিয়ে নিন!!!! আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অচিরেই লোকেদের উপর প্রতারনা ও ধোঁকাবাজির যুগ আসবে। তখন মিথ্যাবাদীকে সত্যবাদী গন্য করা হবে, আমানতের খিয়ানতকারীকে আমানতদার, আমানতদারকে খিয়ানতকারী গন্য করা হবে এবং রুওয়াইবিয়া হবে বক্তা। জিজ্ঞাসা করা হলো, রুওয়াইবিয়া কী? তিনি বলেনঃ "কেয়ামতের আগে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিরা সমাজের নেতৃত্ব দিবে।"! ----------(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৩৬) We're Living In End Time.
    Total Reply(0) Reply
  • S Chowdhury ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 2
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ ধন্যবাদ। ভোট দিতে আমাদের কেন্দ্রে যাওয়া লাগেনি, সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে তিনি আমাদের ভোট সংগ্রহ করেছেন!
    Total Reply(0) Reply
  • Sha Saheb ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    The whole world knows about 2018 CONTROVERSIAL ELECTION of Bangladesh.
    Total Reply(0) Reply
  • Sukanto Sarker ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    Amader asole r kono paper ba news channel deka uchit noy...Karon amra akone mediar upor biswas raksi mone hoy ata oder (newspaper) akon ne mone hoy...
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmul Hossain ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    We could not get chance to give our vote .
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ