মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলায় আগামী ৫ জানুয়ারি মণ্ডলবাঁধ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার আগে পালামৌর পুলিশ সুপারের জারি করা একটি নির্দেশিকা নিয়ে ছড়াল বিতর্ক। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কালো রঙের কোনও ধরনের পোশাক পরেই আসা যাবে না প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে।
২৯ ডিসেম্বর এই নির্দেশিকাটি জারি করেছেন পালামৌর এসপি ইন্দ্রজিত্ মাহাত। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ৫ জানুয়ারি জেলায় আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যারা আসবেন তাদেরকে আগাম জানানো হচ্ছে সভায় কালো পোশাক পরে যেন কেউ না আসেন। প্রত্যেকে নিজের পরিচয়পত্রও সঙ্গে রাখবেন।’
এই নির্দেশ অনুসারে কালো রঙের জামা, প্যান্ট, চাদর, মাফলার পরে আসতে পারবেন না। আনা যাবে না কালো রঙের ব্যাগও। তবে কালো জুতোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কাজে স্থায়ীকরণ ও সরকারি শিক্ষকদের সমতুল্য মাইনের দাবিতে ঝাড়খণ্ডে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পার্শ্বশিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন। গত মাসে রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের একটি অনুষ্ঠানেও কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর সফরে যাতে এ রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
যদিও পালামৌর এসপি ইন্দ্রজিত্ মাহাত এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, ‘অতিথির মর্যাদা বজায় রাখতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তবে মোদির সভায় কালো পোশাকের উপর বিধিনিষেধ এই প্রথম নয়। এর আগেও একই বিতর্ক উঠেছিল রাজস্থান ও গুজরাতে প্রধানমন্ত্রীর সভায়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে জয়পুরের এক সভায় কালো জামা পরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বেশ কিছু দর্শককে। ২০১৭ সালের মে-তেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল গুজরাতের গাঁধীধামে পোর্ট ট্রাস্টের এক অনুষ্ঠানে। সে বার কালো পোশাক পরে আসার জন্য ঢুকতে দেওয়া হয়নি এক সাংবাদিককে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে কালো পোশাক জমা রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন।
পালামৌ ও ঘারয়া জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে কোয়েল নদী। এই নদীর উপরেই ওই বাঁধের প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে। ১৯৯৩ সালে বিহার সরকারের বন বিভাগের আপত্তিতে বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রকল্পের কাজ শেষ করার আবেদন অনুমোদন করে। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।