Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ইয়েস স্যরের বদলে বলতে হবে ‘জয় হিন্দ’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:২৫ পিএম | আপডেট : ৫:২৯ পিএম, ১ জানুয়ারি, ২০১৯

নাম ডাকার সময় আর ‘ইয়েস স্যর’ বা ‘প্রেজেন্ট স্যর’ বলা যাবে না। তার বদলে বলতে হবে ‘জয় হিন্দ’ অথবা ‘জয় ভারত।’ প্রত্যেকদিন স্কুলে হাজিরা দেওয়ার সময় এই নিয়ম মেনে চলতে হবে শিক্ষার্থীদের। নতুন বছরে এমন নির্দেশিকা জারি হল গুজরাটে। যাতে শিশু বয়স থেকে মনে দেশভক্তি জাগিয়ে তোলা যায়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।

সোমবার গুজরাতে শিক্ষা দফতরের জরুরি বৈঠক ছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ চূড়াসমা। যার পর নির্দেশিকা জারি করে প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাতে বলা হয়, শিশু বয়স থেকে পড়ুয়াদের মনে দেশভক্তি জাগিয়ে তোলাই লক্ষ্য। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি এবং অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ১ জানুয়ারি থেকেই শুরু করতে হবে। ক্লাসে হাজিরা দিতে ‘জয় হিন্দ’ বা ‘জয় ভারত’ বলতে হবে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে।
হিন্দু পুনরুত্থানবাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আর এস এসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, এ বি ভি পি-র রাজস্থানের এক শিক্ষককে সম্মানিত করেছে, যিনি নিজের স্কুলের ছাত্রদের রোল কলের সময়ে জয় হিন্দ এবং জয় ভারত বলা অভ্যাস করিয়েছেন। সেই উদাহরণ টেনেই গুজরাতের শিক্ষা দপ্তর তাদের রাজ্যের প্রতিটা স্কুলেই এ নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে।
বছরের শুরুতে মধ্যপ্রদেশে যখন বিজেপি সরকার ছিল, তখন সেখানকার স্কুলগুলিতেও একই নিয়ম চালু হয়েছিল। এ বার গুজরাতকে সেই তালিকায় সামিল করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলেছেন, চিরকাল এমনটাই চলে আসছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেই জাতীয়তাবাদকে আঁকড়ে ধরেন রাজনীতিকরা। এককালে জার্মানিতে হিটলারও এই পন্থা নিয়েছিলেন।
অনেকে আবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ বার হয়ত পাঠ্যক্রমে দেশপ্রেম নামের একটি বিষয়ও জুড়বে। যাতে বছরের শেষে পড়ুয়াদের মধ্যে কে কত বড় দেশভক্ত তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি ভূপেন্দ্র সিংহ চূড়াসমা। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ