Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পঞ্জিকার ইতিকথা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে দিন-ক্ষণ-সময় নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় দারুণভাবে। এই চাহিদা পূরণে সূর্য ঘড়ি-বালু ঘড়ি থেকে শুরু করে নানা বিবর্তনের মধ্যদিয়ে দেশে দেশে প্রশাসনিক প্রযোজনে চালু হয় দিন-ক্ষণ-মাস-বছর নির্ধারণের পঞ্জিকা বা বর্ষপঞ্জি। এর দুটি ধারা। একটি সূর্যনির্ভর সৌর বর্ষপঞ্জি এবং অন্যটি চন্দ্রনির্ভর চান্দ্র বর্ষপঞ্জি। আধুনিক বিশ্বে বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় সর্বত্র স্বীকৃত বর্ষপঞ্জি হচ্ছে গ্রেগোরিয়ান (গ্রেগোরীয়) বর্ষপঞ্জি বা ইংরেজি বর্ষপঞ্জি। পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগোরির এক আদেশানুসারে ১৫৮২ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি এই বর্ষপঞ্জির প্রচলন ঘটে। এ বছর মুষ্টিমেয় কিছু রোমান ক্যাথলিক দেশ গ্রেগোরীয় বর্ষপঞ্জি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে অন্যান্য দেশেও এটি গৃহীত হয়। বর্তমানে এই বর্ষপঞ্জি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে চালু রয়েছে।

এর আগে খৃষ্টপূর্ব ৪৬ অব্দে গাইও জুলিও কায়েসার বা সংক্ষেপে জুলিয়াস সিজার প্রবর্তিত করেন একটি ঐতিহ্যবাহী ক্যালেন্ডার, যা জুলিয়ান বা জুলীয় বর্ষপঞ্জি হিসেবে সমাধিক পরিচিত । এই জুলিয়ান (জুলীয়) বর্ষপঞ্জিকে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির ভিত্তি ধরা হয়। জুলীয় বর্ষপঞ্জি খৃষ্টপূর্ব ৪৫ অব্দে মিসরে রোমানদের বিজয়ের পর থেকে সেখানে কার্যকর করা হয়। এটি রোমান সাম্রাজ্য, বিশেষ করে অধিকাংশ ইউরোপের একটি উদীয়মান ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জি ছিল। কালের পরিক্রমায় জুলীয় বর্ষপঞ্জি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগোরি । ১৫৮২ সালে তার নির্দেশে এটি ধীরে ধীরে উন্নতিসাধনের মাধ্যমে গ্রেগোরীয় বর্ষপঞ্জি রুপে প্রবর্তন করা হয়।
জুলীয় পঞ্জিকায় বছর হিসাব করা হত ৩৬৫ দিনে এবং দিনগুলো ১২ টি মাসে বিভক্ত ছিল। প্রতি ৪ বছর পর ফেব্রুয়ারি মাসকে অধিবর্ষ ধরা হত। এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ সৌর ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি।
জুলিয়ান বর্ষপঞ্জির গণনা অনুসারে একটি মহাবিষুব থেকে যাত্রা করে সূর্যের আবার সেই মহাবিষুবে ফিরে আসা পর্যন্ত সময়কাল অর্থৎি পুরা একটি বছর ধরা হয়েছিল গড়ে ৩৬৫.২৫ দিন, যা প্রকৃত সময়কাল থেকে প্রায় ১১ মিনিট কম। এই ১১ মিনিটের পার্থক্যের ফলে প্রতি ৪০০ বছর অন্তর মূল ঋতু থেকে জুলিয়ান বর্ষপঞ্জির প্রায় তিন দিনের ব্যবধান ঘটত। পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগোরির সময়ে এই ব্যবধান ক্রমশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১০ দিন। ফলস্বরূপ মহাবিষুব ২১ মার্চের পরিবর্তে ১১ মার্চ গিয়ে পড়ে। খ্রিস্টীয় উৎসব ইস্টারের দিন নির্ণয়ের সাথে মহাবিষুব জড়িত। সেকারণে মহাবিষুবের সাথে জুলিয়ান বর্ষপঞ্জির এই ব্যবধান রোমান ক্যাথলিক গির্জার কাছে অনভিপ্রেত ছিল।
গ্রেগোরীয় বর্ষপঞ্জি একটি সৌর পঞ্জিকা। এটি গাণিতিক বর্ষপঞ্জি । গ্রেগোরীয় বর্ষপঞ্জিকে জানুয়ারি, ফেব্রæয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই ১২টি মাসে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারি, মার্চ, মে, জুলাই, আগস্ট, অক্টোবর ও ডিসেম্বর ৩১ দিনে গণনাকরা হয় এবং ফেব্রæয়ারি মাস ২৮দিনে, তবে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ হলে ২৯ দিন ধরা হয়।
গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জির সংস্কার দু’টি ভাগে বিভক্ত ছিল: পূর্ববর্তী জুলিয়ান বর্ষপঞ্জির সংস্কার এবং ইস্টারের তারিখ নির্ণয়ের জন্য গির্জায় ব্যবহৃত চান্দ্র পঞ্জিকার সংস্কার। জনৈক চিকিৎসক অ্যালয়সিয়াস লিলিয়াসের দেয়া প্রস্তাবের সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে এই সংস্কার করা হয়।
চান্দ্র পঞ্জিকা
চন্দ্রনির্ভর পঞ্জিকা ইসলামি জগতে ব্যাপকভাবে চালু রয়েছে। এই বর্ষপঞ্জিকে হিজরী বর্ষপঞ্জিও বলা হয়। বিভিন্ন মুসলিম দেশ এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, আর বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা অনুসরণ করেন ইসলামের পবিত্র দিনসমূহ উদযাপনের জন্য। ইসলাম ধর্মের শেষ বাণীবাহক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পবিত্র মক্কার ক্বুরায়েশদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মক্কা শরীফ থেকে মদীনা মনওয়ারা চলে যান। তাঁর এই জন্মভূমি ত্যাগ করার ঘটনাকে ইসলামে ‘হিজরত’ আখ্যা দেয়া হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর মক্কা শরীফ থেকে মদিনা মনওযারায় হিজরতের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যেই হিজরী সাল গণনার সূচনা। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা:)-এর শাসনামলে ১৭ হিজরী অর্থাৎ রাসুলে করীম হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর মৃত্যুর সাত বছর পর চন্দ্র মাসের হিসাবে এই পঞ্জিকা প্রবর্তন করা হয়।
খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর শাসনামলে হিজরি ১৬ সালে প্রখ্যাত সাহাবি হজরত আবু মুসা আশআরীর (রাঃ) পক্ষ থেকে হিজরি সাল গণনার গুরুত্বের চিঠি পেয়ে হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)-এ বিষয়ে পরামর্শ সভার আহবান করেন। পরামর্শ সভায় হজরত উসমান (রাঃ), হজরত আলী (রাঃ)সহ বিশিষ্ট সাহাবিগণ উপস্থিত ছিলেন। সকলের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে ওই সভায় হযরত ওমর (রা.) সিদ্ধান্ত নেন ইসলামি হিজরি সাল প্রবর্তনের।
সভায় হযরত ওমর (রাঃ) দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যকে হজরত উসমান (রাঃ) ও হজরত আলী (রাঃ) এক বাক্যে সহমত পোষণ করেন। এই প্রেক্ষাপটে খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) হিজরতের বছর থেকেই ইসলামি দিনপঞ্জী গণনা অর্থাৎ হিজরি সাল গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মোট কথা, আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলেই হিজরি সনের গণনা সূচনা হয়।
হিজরতের এই ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ফলেই চান্দ্রমাসের এই পঞ্জিকাকে বলা হয় ‘হিজরী সন’। প্রতিদিন সূর্যাস্তের মাধ্যমে দিন গণনার শুরু হয়। তবে মাস গণনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভূখন্ডে খালি চোখে অথবা চোখানুগ যন্ত্রপাতির (যেমন: দূরবীণ, বা সাধারণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র) সহায়তায় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। মাসগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ বা ৩০ দিনের হয়। যে মাসে ২৯ দিন শেষ হলে নতুন মাসের চাঁদ দেখা যায় না, সে মাসে ৩০ দিন পূর্ণ করে মাস শেষ করা হয়।
বুদ্ধাব্দ
বুদ্ধাব্দ অথবা বুদ্ধনির্বাণাব্দ হল শাক্যমুনি বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ দিবস থেকে গণিত অব্দ। যিষৃ খ্রিস্টের জন্মের ৫৪৩ বছর আগে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে কুশীনগরে ভগবান বুদ্ধ পরিনির্বাণ (পালি: পরিনিব্বাণ) লাভ করেন। সেই বিশেষ দিন থেকেই ১ বুদ্ধাব্দের সূচনা ধরে নিয়ে প্রচলিত হয় “বুদ্ধাব্দ”। প্রত্যেক বছর চান্দ্র বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (যা “বুদ্ধপূর্ণিমা” নামে খ্যাত) আরম্ভ হয় এই অব্দ। এটি সম্পূর্ণ চান্দ্রাব্দ এবং এই অব্দের মাস এবং দিনাঙ্কের গণনাপদ্ধতি অপরাপর সকল ভারতীয় অব্দের ন্যায় প্রাচীন “সূর্যসিদ্ধান্ত থেকে গৃহীত। ভারতীয় চান্দ্রাব্দ গণনাপদ্ধতি অনুসারে বুদ্ধাব্দেও মলমাস গণনার রীতি প্রচলিত আছে। এর ফলস্বরূপ বুদ্ধাব্দ চান্দ্রাব্দ হওয়া সত্তে¡ও সম্পূর্ণ ঋতুনিষ্ঠ।
চীনা বর্ষপঞ্জি
চীনেও প্রচলিত রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। চীনা বর্ষপঞ্জির দিন গগনা শুরু হয় মধ্যরাত থেকে এবং পরের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত। মাস শুরু হয় নতুন চাঁদ দেখা দেওয়ার দিন থেকে এবং শেষ হয় পরের নতুন চাঁদ দেখার পূর্বে। বছর শুরু হয় বসন্তকালের নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে। বর্তমান চীনা বর্ষপঞ্জি অনেক বিবর্তনের ফসল। অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোয়ার-ভাটা সহ বিভিন্ন মৌসুমির কারণে এ বর্ষপঞ্জি অনেক পবির্তন ও পরিবর্ধন করেন। এ বর্ষপঞ্জি আগের প্রায় ১০০ এর অধিক বার পরিবর্তিত হয়েছে। কোরীয় বর্ষপঞ্জি ও ভিয়েতনামের বর্ষপঞ্জি এ বর্ষপঞ্জিরই অংশ।
শকাব্দ/বঙ্গাব্দ
বাংলা সন বা বাংলা বর্ষপঞ্জি হল বঙ্গদেশের একটি ঐতিহ্য মন্ডিত সৌর পঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌরদিন গণনা শুরু হয়। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে মোট ৩৬৫ দিন কয়েক ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই সময়টাই এক সৌর বছর। গ্রেগরীয় সনের মতন বঙ্গাব্দেও মোট ১২ মাস। এগুলো হল বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র। আকাশে রাশিমন্ডলীতে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে বঙ্গাব্দের মাসের হিসাব হয়ে থাকে। যেমন যে সময় সূর্য মেষ রাশিতে থাকে সে মাসের নাম বৈশাখ।
বাংলাদেশ এবং পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে এই বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হয়। বঙ্গাব্দ শুরু হয় পহেলা বৈশাখ বা বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে। বঙ্গাব্দ সব সময়ই গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির চেয়ে ৫৯৩ বছর কম।
শকাব্দ (অথবা শালীবাহনাব্দ) হল ভারতীয় উপমহাদেশে বহুলপ্রচলিত এক প্রাচীন সৌর অব্দ। এই অব্দ বঙ্গাব্দের ৫১৫ বছর পূর্বে এবং খ্রিস্টাব্দের ৭৮ বছর পরে প্রচলিত হয়। শকাব্দের উৎস নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতানৈক্য আছে। কিন্তু অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতানুসারে প্রাচীন ভারতীয় নৃপতি শালীবাহনের প্রয়াণ দিবস থেকেই শকাব্দের সূচনা। রাজা শালীবাহনের রাজত্বকালে একবার বহিরাগত শক জাতি তাঁর রাজ্য আক্রমণ করে। তখন শালীবাহন শকদের পরাজিত করেন এবং ‘শকারি’ উপাধি গ্রহণ করেন। সেখান থেকেই এই অব্দের নাম হয় শকাব্দ। শকাব্দ একটি সৌর অব্দ এবং পূর্বে এর মাস এবং দিনাঙ্ক গণিত হত খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে উদ্ভূত প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতির্বিষয়ক গ্রন্থ ‘সূর্যসিদ্ধান্তের’ সৌরবর্ষ গণনার বিধি মান্য করে অর্থাৎ রবিসংক্রান্তি অনুসারে।
একটি রাশি থেকে অপর একটি রাশিতে সূর্যের আপাতগমনের(প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর বার্ষিক গতি) ফলে মাস পরিবর্তিত হত। পূর্ব ভারতে প্রচলিত বঙ্গাব্দে এবং ভাস্করাব্দে বর্ষগণনার ক্ষেত্রে এখনও এই প্রাচীন পদ্ধতিটিই অনুসৃত হয়ে থাকে। শকাব্দে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন সময়ে বর্ষারম্ভ হত। যেমন উত্তর ভারতে বছর শুরু হত চৈত্র মাসে কিন্তু পূর্ব ভারতে নববর্ষ অনুষ্ঠিত হত বৈশাখ মাসে। ভারতীয় ইতিহাসের আধুনিক যুগেও অন্যান্য অব্দের পাশাপাশি শকাব্দের ব্যবহার বহুলভাবে লক্ষিত হয়। আসামে “ভাস্করাব্দ” নামক একটি অব্দ প্রচলিত থাকলেও শকাব্দের ব্যবহারই বহুল প্রচলিত। সূর্যসিদ্ধান্তের প্রাচীন নিয়ম মেনেই আসামে ১ বহাগ (বৈশাখ) পালিত নববর্ষ উৎসব “বহাগ বিহু” থেকে শকাব্দ গণনা করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্গদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক এবং সাময়িক পত্রে শকাব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য “তত্ত¡বোধিনী পত্রিকা”।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নববর্ষ সংখ্যা

১ জানুয়ারি, ২০১৯
১ জানুয়ারি, ২০১৯
১ জানুয়ারি, ২০১৯
১ জানুয়ারি, ২০১৯
১ জানুয়ারি, ২০১৯
১ জানুয়ারি, ২০১৯
১ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন