মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
৭২ বছর পর প্রথম স্ত্রী সারদার সঙ্গে দেখা হল ৯৩ বছর বয়সী ই কে নারায়ণনের। অভিমানে বাকরুদ্ধ হয়ে থাকলেন ৮৯-এ পা দেওয়া সারদা। শুধু বললেন, ‘কারও উপরেই রাগ নেই।’
১৯৪৬ সালে কেরালার কাভুম্বায়ি গ্রামে কৃষক আন্দোলনের আগুনে ছারখার হয়ে গিয়েছিল নারায়ণন-সারদার দাম্পত্য। তখনও স্বাধীনতা আসেনি। হয়নি দেশভাগ। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে নারায়ণন আর তার বাবা থালিয়ান রমন নাম্বিয়ারকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল কান্নুরের পুলিশ। তাদের ৮ বছরের জেল হয়েছিল। তার ঠিক ১০ মাস আগে ১৩ বছরের সারদার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বছর সতেরোর নারায়ণনের।
কবে ফিরে আসবেন স্বামী নারায়ণন, তার অপেক্ষাতেই ছিলেন সারদা। কিন্তু তার মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটে গেল! ৪ বছরের মাথায় ১৯৫০-এ সালেম জেলে পুলিশের গুলিতে মারা গেলেন নারায়ণনের বাবা। ২২টি বুলেট ঢুকেছিল তার শরীরে। তিনটি আর বের করা যায়নি। ও দিকে, এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তর শুরু হল নারায়ণনের। কখনও কান্নুরে, কখনও ভিয়ুর বা সালেম জেলে।
নারায়ণনের জন্য নিষ্ফল অপেক্ষা ছেড়ে সারদার মা, বাবা তাকে আবার বিয়ে দিলেন। জেল থেকে বেরিয়ে বিয়ে করলেন নারায়ণনও। সেটা ১৯৫৭। তার কয়েক দশক পর সারদার ছেলে ভার্গবনের সঙ্গে আচমকাই দেখা হয়ে যায় নারায়ণনের এক আত্মীয়ের। ভার্গবন তখন চাষবাস করছেন। তার বাবা, সারদার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। সারদার ৬ ছেলেমেয়ের মধ্যে ২ জন মারা গিয়েছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে হারিয়েছেন নারায়ণনও। দু’কথা-চার কথার পর ভার্গবন জানতে পারেন, তার মায়ের প্রথম স্বামী নারায়ণন।
তখনই ঠিক হয়ে যায়, দু’জনকে দেখা করিয়ে দিতে হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। যে কথা সেই কাজ। সারদার সঙ্গে দেখা করতে আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে নারায়ণন চলে আসেন পারাসিনিকাদাভুয়ে ভার্গবনের বাড়িতে। কিন্তু প্রথমে ঢুকতে পারেননি নারায়ণন। ভার্গবন বেরিয়ে এসে জানান, ‘মা দেখা করতে চাইছেন না।’ তার পর ভার্গবনকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে রাজি করান নারায়ণন আর তার আত্মীয়স্বজন। ৮৯ বছর বয়সী সারদার সঙ্গে দেখা হয় নারায়ণনের, ৭২ বছর পর।
ভার্গবনের কথায়, ‘দু’জনেই বেশ কিছু ক্ষণ চুপ করে বসেছিলেন। কোনও কথাই বলতে পারেননি। দু’জনেই কাঁদছিলেন অঝোরে। তার পর দু’জনে এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খান।’
নারায়ণনের নাতনি শান্তা কাভুম্বায়ির লেখা একটি বই বেরিয়েছে কিছু দিন আগে। তার নাম- ‘ডিসেম্বর থার্টি’। ১৯৪৬-এর সেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে লেখা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।