মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিরোধীদলীয় সদস্যদের তুমুল বিরোধিতা সত্ত্বেও তিন তালাকবিরোধী বিল পাস হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনভর বিতর্ক শেষে সন্ধ্যায় ২৪৫-১১ ভোটের ব্যবধানে ওই বিল পাস হয়।
বিলটি আইনে পরিণত হলে যে মুসলিম ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেবেন তার তিন বছরের কারাদণ্ড হবে। বিলটি নিয়ে সব দল বিতর্কে অংশ নিলেও ভোটাভুটির সময় কংগ্রেস, এআইএডিএমকে ও অন্য বিরোধীদলীয় সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না।
বিরোধীদের প্রশ্ন, স্বামী কারাগারে থাকলে স্ত্রী ও সন্তানের দায়িত্ব কে নেবে সে কথা বলা নেই ওই বিলে। তাছাড়া জোর করে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করলে পারিবারিক ঐক্য আদৌ টিকে থাকবে কি-না তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ-এর পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি মুহাম্মদ নুরুদ্দিন শুক্রবার বলেন, ‘ভারতীয় সংসদের লোকসভায় ট্রিপল তালাক বিল পাস হয়েছে। পূর্বের মতো ‘জামায়াতে ইসলামী হিন্দ’ ওই বিলের বিরোধিতা করেছে। ‘জামায়াতে ইসলামী হিন্দ’ মনে করে, কেন্দ্রীয় সরকার বারবার ট্রিপল তালাক বিল নিয়ে আসছে, এতে মুসলিম নারীদের বা মুসলিম সমাজের কল্যাণের কোনো চিন্তা তাঁদের মাথায় নেই। তাঁরা পোলারাইজেশন করতে চায় এবং হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়। এজন্যেই তাঁরা এ ধরণের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
সংসদে তালাক বিল বিতর্কে অংশ নিয়ে বিল নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করে মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘আমি মুসলিমদের পক্ষে বলতে চাই যে, দেশের সকল মুসলিম নারী এই বিলের বিরোধিতা করছেন। সেজন্য আমি এই বিলটির বিরুদ্ধে, কারণ এটি দেশের সংবিধানবিরোধী।’ তিনি বলেন, ‘যদি হিন্দু সমাজের কেউ তালাক দেয় তার জন্য এক বছরের সাজার ব্যবস্থা। কিন্তু মুসলিমদের জন্য তিন বছরের সাজার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কেন?’ ওয়াইসি বলেন, ‘ইসলামে বিয়ে একটি চুক্তি। সেজন্য আইন করা যেতে পারে তিন তালাক দিলে তাকে তিনগুণ দেনমোহর দিতে হবে। কিন্তু আপনারা নারীদের ভালোবাসেন না, আপনাদের (সরকার) উদ্দেশ্য শুধু কারাগারে পাঠানো।’ তিনি বলেন, ‘দেশে ৮৪ শতাংশ দশ বছর বয়সী হিন্দু মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আইন থাকা সত্ত্বেও তা বন্ধ হচ্ছে না। চাপ সৃষ্টি করে জবরদস্তির মধ্যে আমরা আমাদের ধর্ম ছেড়ে দেবো না। আর যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন আমরা মুসলিম হিসেবে শরীয়া অনুযায়ী চলতে থাকব, সেজন্য আমরা এই বিল প্রত্যাখ্যান করছি।’ সূত্র: পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।