মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একাধিক জায়গার নামবদল, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিন ছুটি বাতিল-সহ নানা বিষয়ে নির্দেশ জারি করে বিতর্কে জড়িয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল পার্কে নমাজ পাঠে নিষেধাজ্ঞা! এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস।
গত সপ্তাহে নয়ডার সেক্টর-৫৮-এর একটি পার্কে নামাজ আদায় করা যাবে না বলে ফরমান জারি করেছে পুলিশ। ওই নির্দেশিকায় কোম্পানিগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে, তাদের কর্মীরা যদি পার্কটিতে নমাজ পাঠ করেন, তা হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই নির্দেশভঙ্গের দায় নিতে হবে। এমন নির্দেশ জারির পরে ওই শিল্পাঞ্চলে মুসলিম কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কোম্পানিগুলির কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও চিন্তাভাবনা করছেন। নয়ডার সেক্টর-৫৮ এলাকায় এইচসিএল-সহ ১২টি বহুজাতিক সংস্থাকে পার্কে নমাজ পাঠ বন্ধের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
বহুজাতিক সংস্থাগুলোর মুসলিম কর্মীরা শুক্রবার কাজের সময় ওই পার্কটিতে কয়েক বছর ধরেই নমাজ পাঠ করছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলির কিছু মুসলিম কর্মীকে শুক্রবার পার্কে নামাজ পড়তে দেখা যায়। তাদের ওই কাজ করতে যেন নিষেধ করা হয়। তা সত্ত্বেও যদি পার্কে কর্মীদের নমাজ পাঠ করতে দেখা যায়, তা হলে কোম্পানিগুলিকে নির্দেশভঙ্গের দায় নিতে হবে।
নামাজ পড়া যাবেনা এমন নির্দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে অস্বস্তিতে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন।
নয়ডার এসএসপি অজয় পালের বক্তব্য, কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘কিছু লোক সেক্টর-৫৮র পার্কটিতে নমাজ পাঠের অনুমতি চেয়েছিলেন। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি। কিন্তু এখনও সেখানে কিছু লোক ধর্মীয় কারণে জড়ো হচ্ছেন। তাদের উদ্দেশেই ওই নোটিশ।’
সূত্র জানায়, একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নির্দেশিকা জারি করেছে। ওই সংগঠনটি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল, প্রকাশ্যে নমাজ পাঠে এলাকায় ‘সম্প্রীতি বিঘ্নিত’ হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতা দখলের পর থেকে গোরক্ষা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা। সম্প্রতি কয়েকটি জায়গার নাম বদলেছে। এমনকি, গত বছর দু’টি মুসলিম উৎসবের দিন সরকারি ছুটিও বাতিল করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। সেই পথ ধরেই নামাজ নিয়ে এমন নিষেধাজ্ঞা।
গত পাঁচ বছর ধরে সেক্টর-৫৮’র পার্কটিতে নামাজের ইমামতি করাচ্ছেন মাওলানা নৌমান। তিনি জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর তাদের পুলিশ জানিয়েছিল, ওই পার্কে নমাজ পাঠ করা যাবে না। তিনি সেই নির্দেশ মেনেছেন। কিন্তু তার পরেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন নৌমান। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘নামাজ পাঠের জন্য এলাকায় শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে অভিযোগে গত ১৮ ডিসেম্বর আমাকে এবং আমার বন্ধু আদিল রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ ডিসেম্বর জামিন পেয়েছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।