পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মধ্যরাতে কাশ্মীরের সিরনু গ্রামে হাজির হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা : তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তি সেখানে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছিল। শনিবার সকালে, স্থানীয়দের ঘুম ভাঙে বন্দুকের গুলির শব্দে। সহিংসতার কথা ছড়িয়ে পড়লে শত শত তরুণ যুবক ওই এলাকায় জড়ো হয়, হামলাকারীদের পালাতে সহায়তা করার জন্য পাথর ছুড়তে শুরু করে তারা। নিরাপত্তা বাহিনী তখন ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে সাতজন নিহত হয়, আহত হয় কয়েক ডজন। এই নিহতদের একজনের বয়স মাত্র ১৪ বছর। জম্মু ও কাশ্মীরে এটা ছিল এ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা। ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত এই রাজ্যে তিন দশক ধরে স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে আসছে। মৃত্যুর হারের সাথে সাথে আরেকটি জিনিসও বাড়ছে। কাশ্মীরে সহিংসতা বাড়ছে এবং কাশ্মীরের তরুণদের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে। সরকারি তথ্য মতে, ২০১৮ সালে মৃত্যুর হার এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে। এ পর্যন্ত ৩২৪ জনের মতো নিহত হয়েছে। মানবাধিকার গ্রুপগুলোর হিসেবে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা একশ পেরিয়ে গেছে। কেউই মনে করেন না যে শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে সেখানে। পুলওয়ামা জেলার সিরনুর ঘটনা পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী যখন অভিযান চালিয়েছে, তখনই জনতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের, যারা সরে না গিয়ে তাদের গতি রোধ করেছে। জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং কাশ্মীর সঙ্ঘাতের দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষক অমিতাভ মাত্তু বলেন, মনে হচ্ছে “এমন একটা প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, যাদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে ছাড়া অন্য কোন ভাবে ভারতের সাথে যোগাযোগ নেই”। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।