গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র কয়েকজন নেতাও আছেন।
বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভেতরে তাদেরকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মারধরের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসির প্রধান গেটটি বন্ধ করে দেয়। এ সময় টিএসসির ভিতরে অবস্থান করা সবাইকে এলোপাথাড়ি মারধর করে হামলাকারীরা। এতে আহত হন ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা বিন ইয়ামিন, জসিম উদ্দিন আকাশ, সোহরাব হোসেনসহ দশ-বারোজন।
মারধরের শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, কর্মসূচির জন্য তারা টিএসসিতে জড়ো হয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় বসেন। এসময় ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মী তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলার বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নূরুল হক নূর বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা কারণে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় দশ-বারোজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত সোহরাব হোসেনসহ চারজনকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও তারা বিভিন্ন সময় আমাদের উপর হামলা করেছে, কিন্তু প্রশাসন কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি এই হামলার বিষয়ে কিছুই জানিনা। তাই কিছু বলতে পারবোনা।
এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।