Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাবি ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা

রাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২২, ৮:২৭ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শাখা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৩ মে) বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের দলীয় টেন্টে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগের হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির রেজোয়ান ও যুগ্ম আহ্ববায়ক এমএ তাহের রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ কটূক্তি এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের উপর পুলিশি হামলা-মামলা এবং ছাত্রদল নেতা জাসামকে গুম করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে গেলে তাদেরকে দেখা মাত্রই লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে যুগ্ম আহবায়ক এম এ তাহের ও আহবায়ক সদস্য জাকির রেদওয়ান আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ভর্তি আছে।

হামলার বিষয়ে ছাত্রদলের রাবি শাখার আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন। তারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাবিরুজ্জামান রুহুল মারধরের ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেন, কোনো রকম মারধরের ঘটনা ঘটেনি।আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলাম। এসময় ছাত্রদলে কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাসের পরিবেশ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলো এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করছিলো। এজন্য আমরা চেয়েছি যেনো কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয় সেই জন্য আমরা তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে কটুক্তিমূলক কথা বলেছেন তার পরিপেক্ষিতে আজ আমরা বিক্ষোভ মিছিল করি। এদিকে ছাত্রদলের কোনো নেতা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশকে বিঘ্নিত করার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তাদেরকে ধরে এবং ক্যাম্পাস থেকে বিতারিত করে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো শিক্ষার্থী কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার এখতিয়ার রাখেনা। এ ঘটনার পিছনে আসল প্রেক্ষাপট আমি জানি তবে আমরা তদন্ত করে দেখছি বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ