Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এবার দিল্লিতে হিজাব পরে আসায় পরীক্ষা দেওয়া হল না ছাত্রীর!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:৪১ পিএম

গোয়ার পর এ বার দিল্লি। হিজাব পরে যাওয়ায় এবার এক ছাত্রীকে বসতেই দেওয়া হল না পরীক্ষায়। ছাত্রীর নাম উমাইয়া খান। তিনি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ছেন।
গত সপ্তাহে নেট পরীক্ষা ছিল তার। পরীক্ষার সিট পড়েছিল দিল্লির রোহিণী এলাকায়। নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন উমাইয়া। অভিযোগ, যে ঘরে সিট পড়েছিল সেই ঘরে ঢুকতে যেতেই পরীক্ষকদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাকে।
ওই ছাত্রীর দাবি, পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা পুরুষ ও মহিলা পর্যবেক্ষকরা তাকে পরীক্ষায় বসতে বাধা দেন। কেন তাকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্ন করতেই পর্যবেক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, হিজাব পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। পরীক্ষায় বসতে হলে হিজাব খুলে ফেলতে হবে!
ছাত্রীটি বলেন, ‘পরীক্ষকদের বার বার বলি এটা আমার ধর্মীয় ব্যাপার। হিজাব খুলতে পারব না। তাদের অনুরোধও করি পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার জন্য, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেননি।’
পরীক্ষায় দিতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসেন উমাইয়া। জানান, ইউজিসি-কে এ বিষয়ে সবিস্তারে জানিয়ে একটি মেল করেছেন। যদি ইউজিসি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও উত্তর না দেয় তা হলে আইনের সাহায্যও নেবেন বলে জানিয়েছেন উমাইয়া।
হিজাব পরার জন্য বোনকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উমাইয়ার বড় ভাই মহম্মদ জাহিদ আফজল। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু উমাইয়ার ক্ষেত্রে ঘটেছে এমনটা নয়, আরও অনেক মুসলিম মেয়ের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। উচ্চশিক্ষার দিক থেকে মুসলিমরা যেখানে পিছিয়ে, এমন সুযোগ পাওয়ার পরেও তাদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।’
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিরুল হাসান আনসারি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। শিক্ষা এবং পরীক্ষায় বসা ছাত্রছাত্রীদের অধিকার। কোনও বিশেষ ধর্মের বলে ছাত্রছাত্রীদের সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।’
এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটে গোয়ার পানাজিমে। হিজাব পরে যাওয়ায় সাফিনা খান নামে এক ছাত্রীকে নেট পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সাফিনার অভিযোগ ছিল, পরীক্ষার হলে ঢোকার পরই তাকে হিজাব সরাতে বলেন পর্যবেক্ষক। কিন্তু তিনি হিজাব খুলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। আর তার পরই তাকে পরীক্ষায় বসতে দিতে অস্বীকার করেন পর্যবেক্ষকরা। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ