Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই হাজার সৌর লন্ঠনে আলোকিত চর ভদ্রাশন

মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘ফাউন্ডিং ফাদার’ এর সম্মানে বিশ্বের পাঁচটি দেশে সর্বমোট ১০ হাজারটি সৌর লণ্ঠন দান করবে জায়েদ সাস্টেনিবিলিটি প্রাইজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:২০ পিএম

৫ই ডিসেম্বর বাহরাইনে এবং ৬ ই ডিসেম্বর বলিভিয়ায় প্রচারণা শেষে জায়েদ সাস্টেনিবিলিটি পুরস্কারের ‘গাইডিং লাইট’ বিশ্বব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলার চর ভদ্রাশনের হাজার বিঘার চরে ২০০০ সৌর বাতি (লণ্ঠন) ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশে আসে।
হাজারবিঘার চর দ্বীপে সূর্যাস্তের ঠিক পর পরই জায়েদ সাস্টেনিবিলিটি প্রাইজের লোগো লন্ঠন স্থাপনের মাধ্যমে উন্মোচন করা হয় এবং পরে তা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। স্কুল শিক্ষার্থী, স্থানীয় দোকানদার, জেলে ও তাদের পরিবার, নারী ও শিশুসহ স্থানীয় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা সহ সর্বমোট ১,৮৪৭ জন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা মৃত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান-এর সম্মাননায় বিশ্বজুড়ে সকল অনুপ্রেরণা ও উদ্ভাবনীমূলক কাজের স্বীকৃতি দানের লক্ষ্যে ‘জায়েদ সাস্টেনিবিলিটি প্রাইজ” প্রবর্তন করা হয়। যা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বহুল প্রচলিত ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমাদৃত।
২০০৯ সালে এ পুরস্কার বিজয়ী ব্রাইট গ্রীন এনার্জি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব দীপাল বড়ুয়া এবং তার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে “জায়েদ সাস্টেনিবিলিটি প্রাইজ” এর আহবানে ‘গাইডিং লাইট’ অনুষ্ঠানটি সম্পাদন করেন। আর্ন্তজাতিকভাবে অন্যান্য দেশে অনুষ্ঠিত প্রচারণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও ২০-২০ মিটার লন্ঠনের স্থাপন দ্বারা আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা মৃত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান-এর মুখচ্ছবির লোগো উন্মোচন করা হয়।
“জায়েদ সাস্টেনিবিলিটি প্রাইজ” এর উদ্বোধনী পুরস্কার বিজয়ী মিঃ দীপাল বড়–য়া, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ, গ্রামীণ জনগণের আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলির জন্য টেকসই, বাজার ভিত্তিক সমাধান প্রদানের জন্য দুই দশকের অধিক অভিজ্ঞতার আলোকে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত বিদ্যুৎ বিহীন মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের ব্যাপক হারে প্রত্যেক বাড়িতে সোরার হোম সিস্টেম উদ্ভাবন করেন। সৌর পিভি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন ও প্রচারণার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর সপক্ষে প্রচারণা ও অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্য কাজ করেন। এই প্রচারণা বাংলাদেশকে ‘সৌর জাতিতে’ পরিণত করার লক্ষ্যে তার উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে।
জায়েদ সাস্টেনিবিলিটি পুরস্কারের পরিচালক ডঃ লামা ফাওয়াজ বলেন, ‘গাইডিং লাইট প্রচারাভিযান বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন চালানোর জন্য পুরস্কারের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। ব্রাইট গ্রীণ এনার্জি ফাউন্ডেশনের মতো অতীতের পুরষ্কার বিজয়ীরা, বাংলাদেশের অফ গ্রিড সম্প্রদায়গুলিতে সৌর লণ্ঠন সরবরাহের জন্য আমরা আমাদের বিজয়ীদের মানবিক প্রচেষ্টাকে উজ্জ্বল করে তুলেছি এবং বিশ্বব্যাপী স্থায়ীত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি।’
মিঃ দীপাল বড়–য়া বলেছেন, ‘গাইডিং লাইট প্রচারণার প্রভাব আক্ষরিক অর্থে ১০,০০০ বাসিন্দাদের এই অফ গ্রিড দ্বীপ জুড়ে হাজার হাজার বাড়ি এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে আলোকিত করেছে। এই আলোর মাধ্যমে অন্ধকারেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি খোলা থাকবে এবং রাত্রে রোগীদের চিকিৎসার জন্য, শিশুদের পড়া-লেখা করতে অবদান রাখবে, যার মধ্যে নিরাপদভাবে আলোকিত পরিবেশ সরবরাহ করা হবে এবং শ্রমজীবি নারী, ক্ষুদ্র দোকানদারদের ব্যবসা বৃদ্ধি এবং রাতে মহিলাদের সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’
গাইডিং লাইট একটি বিশ্বব্যাপী প্রচারণা যা বাহরাইনে ৫ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে শুরু হয়ে ৯ জানুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশের পর এই প্রচারণা এখন কেনিয়াতে হবে। যেখানে পরবর্তী ইভেন্ট ২০১৩ পুরস্কার বিজয়ী ডি লাইটের সাথে অংশীদারিত্বে থাকবে। এই প্রচারণাটি ৯ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আলোকিত

১ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ