নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড আজিজভ আলীসেরের জোড়া গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে শেখ রাসেল ২-০ গোলে হারায় গোপীবাগের দলকে। এই জয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ পেল শেখ রাসেল।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় শেখ রাসেল। বেশ ক’টি গোলের সুযোগ তৈরী করে যা থেকে দু’টিতে সফলতা পেয়ে বিজয়ী বেশে মাঠ ছাড়ে তারা।
ধারাবাহিক আক্রমণে ১২ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় রাসেল। এসময় কর্ণার থেকে রাফায়েল দ্য সিলভার কর্ণারের বল বক্সে লাফিয়ে উঠে নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক সুজন চৌধুরী। তবে বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ১৮ মিনিটে ব্রাদার্সের এভারটনের কর্ণার বক্সে পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সতীর্থরা। ২০ মিনিটে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন লিওনার্দো। কিন্তু বল কেড়ে নেন রাসেলের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এলিসন উদোকা। ৩৭ মিনিটে শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওদুইনের ডি-বক্সের মাথা থেকে করা বাঁম পায়ের গড়ানো ক্রস গ্রিপ করতে চেষ্টা করেছিলেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক সুজন। কিন্তু বলের গতি বেশি থাকায় তিনি ঠিক মতো বল ধরতে পারেননি। ফলে কর্ণার পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি শেখ রাসেল। অবশেষে প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে লিড নেয় বিজয়ীরা। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে রাসেলের রাফায়েল ওদুইনের ডান পায়ের ক্রসে বাঁমপ্রান্ত থেকে লাফিয়ে উঠে উড়ন্ত বলে বাঁ পায়ের দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন উজবেক ফরোয়ার্ড আজিজভ আলীসের (১-০)। তবে রাসেলের গোলটি মেনে নিতে পারেনি ব্রাদার্স শিবির। তাদের দাবী গোলটি ছিলো অফসাইড। তাই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলটির ম্যানেজার আমের খান। তবে সহকারী রেফারী তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। পিছিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় গোপীবাগের দলটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরো পিছিয়ে পড়ে তারা। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে শেখ রাসেল। এসময় বাঁমপ্রান্ত থেকে খালেকুর জামানের গড়ানো ক্রস বক্সে পেয়ে ডান পায়ের শটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন আলীসের (২-০)। জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নিজেদের রক্ষণদূর্গ সামলে খেলতে থাকে শেখ রাসেল। ফলে ম্যাচে ফেরার আশাটা হারিয়ে ফেলেন নঈমুদ্দিন শিষ্যরাও। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানের জয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।