নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দিনের পর দিন পেছনে হাঁটলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন মন্তব্য করেছেন, ‘সঠিক পথেই রয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল, মাঠে খেলা আছে’। তার এমন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসেসিয়শেনের মহাসচিব তরফদার মো: রুহুল আমিন। গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘বাফুফে সভাপতি সত্যটা বলছেন না। আমরা যারা ফুটবল নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি, তারাই জানি কোথায় আছে দেশের ফুটবল? আসলেই সঠিক পথে নেই বাংলাদেশের ফুটবল।’
তরফদার রুহুল আমিন আরো বলেন,‘স্টেডিয়ামে দর্শক নেই। ঘরোয়া লিগগুলোও ঠিকঠাক মতো হচ্ছে না। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পেছাতে পেছাতে যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অথচ বাফুফে সভাপতি সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন। তিনি হয়তো ভুলে গেছেন ফুটবলে খামখেয়ালিপনার স্থান নেই। আসলে চেয়ার আকড়ে ধরে রাখতে ভুল বোঝাচ্ছেন কাজী সালাউদ্দিন। ফুটবল চলছে, এটা ঠিক। কিন্তু দেশের ফুটবল কিভাবে চলছে সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। জাতীয় দল কেমন সাফল্য পাচ্ছে সেটা দিয়েই মূল্যায়ন করা হয় দলগুলোকে। বর্তমানে যারা বাফুফেতে আছেন তারা দ্বায়িত্বে রয়েছেন সেই ২০০৮ সাল থেকে। তখন থেকেই জাতীয় দলের কোন ট্রফি নেই। সাফে ভাল খেলতে পারলে দেশের ফুটবল এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সাফেও ধারাবাহিক ব্যর্থতা। তাহলে কিভাবে সঠিক পথে থাকে ফুটবল।’
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগ কেন বন্ধ রয়েছে তার কারণ জানতে চেয়েছেন এই কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে তার কথা, ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটিতে আমি স্পন্সর করছিলাম। আমাদের অর্থায়নে মুখ থুবরে পরা এসব লিগ যখন সচল হয়েছিল, ঠিক তখনই অদৃশ্য এক কারণে আমাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে বাফুফে।’
জাতীয় দলের ব্যর্থতার ফিরিস্তি দিয়ে রুহুল আমিন বলেন, ‘বাফুফের এই কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর গত চারটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রæপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দল ৭৯টি ম্যাচ খেললেও জিতেছে মাত্র ২০টিতে।’
তিনি জানান, শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার বাইরেও ফুটবল স্থবির করে দিয়েছে বাফুফের বর্তমান কমিটি। তবে এবার তারা নিজেদের উদ্যেগে ৪০টি জেলায় লিগ করেছেন। এমন পরিসংখ্যান দিয়ে তরফদার আরো বলেন, ‘দেখুন এই তথ্যগুলোতে চোখ রাখলেই বুঝতে পারবেন তাদের এগিয়ে যাওয়ার নমুনা। আমি যদি না পারি তবে আমাকে বলতে হবে যে আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না। ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা। কিন্তু এটা যদি স্বীকার করার মানসিকতা না থাকে তো এই জায়গায় বসে ফুটবল উন্নয়ন সারা জীবনেও সম্ভব নয়।’ নতুন ফুটবলার তৈরির জন্য যে পাইপলাইন দরকার তা করতে না পারার জন্য বাফুফে কর্তাদেরই দায়ী করে তিনি বলেন,‘গত ১০ বছরে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ক্রীড়া সহ দেশের সব ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে। ক্রিকেট, ভলিবল, হকি আরচ্যারি সহ মেয়েদের ফুটবলও এগিয়েছে। শুধু এগোয়নি দেশের পুরুষ ফুটবল, এ অবস্থা মেনে নেয়া যায় না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।