নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবল হবে কাতারে। আর যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক আমেরিকা, কানাডা, মেক্সিকো। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর বিশ্ব ফুটবলের মেগা এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর। কাতারের প্রচÐ গরমের মধ্যে খেলতে হবে বিশ্বসেরা তারকাদের। তাই এরই মধ্যে আয়োজক দেশটি কুলিং টেকনোলজির ব্যবস্থা করেছে। উন্নত সেই প্রযুক্তির ব্যবহারে কাতারের স্টেডিয়ামের তাপমাত্রা নামিয়ে আনা সম্ভব বলে জানাচ্ছে আয়োজক কমিটি। কুলিং টেকনোলজি এরই মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। গত বছর খলিফা স্টেডিয়ামে আমির কাপের ফাইনালে এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যায়। সাফল্যর মুখ দেখেছে এই কুলিং টেকনোলজি। পুরো বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডক্টর আবদুল গনি।
এই প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গনি জানান, ‘২০২৬ সালের বিশ্বকাপেও কুলিং টেকনোলজি ব্যবহার করতে হতে পারে। যেই আসরটি বসবে আমেরিকা-কানাডা-মেক্সিকোর মাটিতে। আয়োজক তিন দেশের কমিটির এই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া লাগতে পারে। আমরা তাদের এই প্রযুক্তি দেখে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তবে, এখনও কোনো সাড়া পাইনি। আমি বিশ্বাস করি তারা খুব শিগগিরই সাড়া দেবেন। কারণ, আমরা অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারি। যেমন রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে আমরা শিখেছি। আবার দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দেখেও শিখেছি। যেখানে রেফারিরা খেলা চলাকালীন ম্যাচ থামিয়ে খেলোয়াড়দের জন্য পানি পানের বিরতি দিয়েছেন।’
আবদুল গনি আরও জানান, ‘আপনি যদি উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া চলতে চান কিংবা এটাকে এড়িয়ে যেতে চান, তাহলে আপনাকে পুরো পরিবেশকে বদলে দিতে হবে। আবহাওয়া বদলে দেওয়া সহজ কথা নয়। আমি বিশ্বাস করি ২০২৬ সালের আয়োজকরা খুব শিগগিরই আমাদের সঙ্গে বসবে, আলোচনা করবে। কারণ অভিজ্ঞতা থেকে শেখার বিকল্প নেই। আমরা কাতারের পক্ষ থেকে নিজেরাই তাদের প্রস্তাব দিয়েছি। মেগা টুর্নামেন্ট কোনো সমস্যা ছাড়া আয়োজন করতে চাইলে আমরা অন্য দেশগুলোকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
কুলিং টেকনোলজির এই বিশেষজ্ঞ যোগ করেন, ‘যদিও এই প্রযুক্তি বেশ ব্যয়বহুল। তারপরও যারা এই উন্নত প্রযুক্তির সেবা নিতে চাইবে তারা বার বার চাইবে কুলিং টেকনোলজিকে ব্যবহার করতে। অন্য দেশগুলো আমাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্টেডিয়াম কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে পারে। আমরা হয়তো কোনো চার্জ ছাড়াই তাদের সহায়তা করতে পারবো। কারণ এক একটি স্টেডিয়াম অন্যটির চেয়ে আলাদা, ভিন্ন চরিত্রের, ভিন্ন উচ্চতার, ভিন্ন ডিজাইনের। আমার বিশ্বাস আমেরিকা-কানাডা-মেক্সিকো আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে।’
কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেবে ৩২ দল। মেগা এই টুর্নামেন্টের জন্য ৮ থেকে ১২টি ভেন্যু প্রস্তুত করছে কাতার। ৫ থেকে ৮টি শহরে হবে পরের বিশ্বকাপের ম্যাচ। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে আমেরিকা-কানাডা-মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনে অংশ নিতে পারে ৪৮টি দেশ। যেখানে ১৬টি ভিন্ন শহরে ভেন্যুর সম্ভাব্য সংখ্যা ধরা হয়েছে ১৬টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।