মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বুলন্দশহরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী সুবোধকুমার সিংহকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না পারলেও যে ‘ঘটনা’র প্রেক্ষিতে উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছিল, সেই ‘গোহত্যা’য় জড়িত সন্দেহে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সমালোচনার মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অবশ্য জানালেন, বুলন্দশহর কাণ্ডে তার সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্য সবার তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
এদিকে, যোগী আদিত্যনাথের সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে ৮৩ জন প্রাক্তন আমলা তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। খোলা চিঠিতে তাদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে বিকৃত মূল্যবোধের ভিত্তিতে চালানো হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সরকার।
মঙ্গলবার যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনকেই গোহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে নাদিম, রায়েজ আর কালা, এই তিন জনের নামই ছিল না যোগেশ রাজের অভিযোগে। আবার পুলিশ হত্যায় মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজের যে অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল চার জনকে, সেই চার জনের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ। তাদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে উত্তরপ্রদেশে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় সারা দেশের নজর গিয়ে পড়েছিল উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। একটি গোহত্যার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা আগুল লাগিয়ে দেয় বুলন্দশহর থানায়, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সরকারি গাড়ি, শেষে একটি মাঠের ধারে নিয়ে গিয়ে পাথর দিয়ে থেঁতলানোর পর গুলি করে মেরে দেওয়া হয় পুলিশ অফিসার সুবোধকুমার সিংহকে।
মঙ্গলবার সেই ঘটনার জেরে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যাদের মধ্যে তিন জনই গোহত্যায় অভিযুক্ত। যদিও এখনও নিখোঁজ পুলিশ হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বজরং দলের নেতা যোগেশ রাজ। অবশ্য নিঁখোজ শুধু পুলিশের খাতায়। সে বহাল তবিয়তেই ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। শুধু ঘুরে বেড়ানোই নয়, মাঝে মাঝে ভিডিয়ো বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন বলে ও খবর।
পুলিশ হত্যার ঘটনার তদন্তে যতটা নিস্পৃহ যোগী সরকার, ততটাই সক্রিয় অভিযুক্ত গোহত্যার তদন্তে। এই অভিযোগে জেরবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানালেন, ‘বুলন্দশহর কাণ্ডের তদন্তে উত্তরপ্রদেশ সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্য সবার কাছে প্রশংসা আর ধন্যবাদ আশা করি।’ অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও পুলিশ হত্যার ঘটনাটিকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন আদিত্যনাথ। তখন তার মন্তব্য ছিল, ‘পুলিশহত্যার ঘটনা একটি দুর্ঘটনা।’
বুধবার আরও এক ধাপ এগিয়ে যোগী বলেছেন, ‘যারা বিষমদ বিক্রি করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করার চেষ্টা করে, তারাই আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও। গোহত্যা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে সরকার কঠোর ভূমিকা নেবে। প্রশাসনের কাজই সেটা।’
যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, গোহত্যার ঘটনাটিকেই প্রাধান্য দেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এখন থেকে এ নিয়ে আর কোনও লুকোছাপা থাকল না। কিন্তু পুলিশকর্মী হত্যার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।