মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের মধ্যে কার্যত সবচেয়ে গরিব দল তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)। অন্তত নির্বাচন কমিশনে দলের পক্ষ থেকে যে আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে তাতে সেরকমই অবস্থান রাজ্যের শাসক দলের। ২০১৭-১৮ সালে দলের আয় মাত্র ৫ কোটির কিছু বেশি! তালিকায় শীর্ষে বিজেপি। এই আর্থিক বছরে কেন্দ্রের শাসক দলের আয় ১০০০ কোটিরও বেশি। কংগ্রেসের হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি। পরিসংখ্যান পাওয়া দলগুলির মধ্যে বিজেপির পরে ক্রমান্বয়ে রয়েছে সিপিএম, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার ছ’টি রাজনৈতিক দলের ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ্যে এনেছে নির্বাচনী ও রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে কাজ করা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)। নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলি যে হিসাব জমা দেয়, সেটাই প্রকাশ করে এই সংস্থা। রাজনীতি ও নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনা, কালো টাকার ব্যবহার ও দুর্নীতি কমাতে ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ-এর (সারা দেশের প্রায় ১২০০টি সংগঠনের মিলিত সংস্থা) সঙ্গে কাজ করে বেসরকারি ও অরাজনৈতিক সংস্থা এডিআর।
এই সংস্থার প্রকাশিত ছ’টি দলের আয়-ব্যয়ের হিসেবের ক্রম তালিকায় পঞ্চম স্থানে জায়গা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। শুধুমাত্র বাম দল সিপিআই-এর উপরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল যে আয়কর রিটার্ন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে, তাতে দেখানো হয়েছে, গত আর্থিক বছরে আয় হয়েছে ৫.১৭ কোটি টাকা। আর খরচ হয়েছে ১.৭৬ কোটি টাকা।
তালিকায় সবচেয়ে বেশি আয় বিজেপির, ১০২৭.৩৩৯ কোটি টাকা। আর এই সময়ে গেরুয়া দল খরচ করেছে ৭৫৭.৪৭ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থাৎ গত আর্থিক বছরে বিজেপির আয় ছিল ১০৩৪.২৭ কোটি টাকা। এই হিসেবে এবার বিজেপির আয় কমেছে প্রায় সাত কোটি টাকা।
নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলির আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ অক্টোবর। নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে। আর এডিআর হিসেব পেশ করেছে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে আর এক জাতীয় দল কংগ্রেস এখনও তাদের হিসেব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে। ফলে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসেব পাওয়া যায়নি। তবে গত আর্থিক বছরে দলের আয় দেখানো হয়েছিল ২২৫.৩৬ কোটি টাকা।
আয়ের হিসেবে বিজেপির পরে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে সিপিএম। তাদের আয় হয়েছে ১০৪.৮৪৭ কোটি টাকা। আর বামপন্থী এই দলের খরচ হয়েছে ৮৩.৪৮২ কোটি টাকা। ৫১.৬৯৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে বিএসপি-র। মায়বতীর দল খরচ করেছে ১৪.৭৮ কোটি।
মহারাষ্ট্রের দল এনসিপি-র আবার খরচই বেশি আয়ের চেয়ে। গত আর্থিক বছরে দলের আয় দেখানো হয়েছে ৮.১৫ কোটি। আর খরচ হয়েছে ৮.৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৬৯ লক্ষ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে শরদ পাওয়ারের দলের। তালিকায় এর পর রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সবচেয়ে নীচে রয়েছে সিপিআই। ১.৫৫ কোটি টাকা আয়ের মধ্যে তাদের খরচ হয়েছে ১.১০ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।