মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের অন্যতম তিনটি রাজ্যে কোনো বড় জোট ছাড়াই বিজয়ের পর কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে সরকার গঠনের জন্য বড় দুই আঞ্চলিক দল, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির নিঃশর্ত সমর্থন পেল। এই প্রাপ্তি তাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিন রাজ্যে কংগ্রেসের সাথে প্রাক-নির্বাচনি জোট গঠনে অসম্মতি জানিয়েছিল দল দুইটি।
মঙ্গলবার সকালে, প্রথমে বিএসপি প্রধান মায়াবতী কংগ্রেসের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করেছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই এসপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি আখিলেশ যাদব ঘোষণা করেন, মধ্যপ্রদেশে তাদের একমাত্র বিধায়ক নিয়ে তারা কংগ্রেসকে সমর্থন দেবে। মধ্যপ্রদেশে বিএসপি’র বিধায়ক দুইজন ও রাজস্থানে ছয় জন।
এর আগে, কংগ্রেস নিজেদের কারণে নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের রাগের কারণে এই জয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করলেও মায়াবতী শর্ত ছাড়াই কংগ্রেসকে সমর্থন দিলেন। তিনি বলেন, ‘বিজেপি বিলোপ করার প্রতুশ্রু তেই আমরা বিএসপি কংগ্রেসকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগিজয় সিং সংগে সংগেই তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বেহানজি ধন্যবাদ।’ তিনি বলেন, তার দল আম্বেদকরের সপ্ন সফল করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
স্বপ্ন।
লখণৌতে, যখন আখিলেশ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল প্রাক-নির্বাচনে জোট গঠনে রাজি না হলেও কেন তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তার উত্তরে এসপি প্রধান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তার দল নতুন করে শুরু করতে চাইছে এবং আগামী বছর নির্ধারিত লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যে মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদব তিন রাজ্যে কংগ্রেসের বিরোধী হয়ে আলাদা ভাবে লড়েছেন, তারাই বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুরোপুরি রাহুল গান্ধীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। কোনও সন্দেহ নেই, এটা মোদী-শাহের কাছে বড় রাজনৈতিক ধাক্কা।
সাড়ে চার বছর আগের লোকসভা নির্বাচন এবং তার পরে একের পর এক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে মোদী-শাহর জয়ের রসায়নের অন্যতম অঙ্গ ছিল, নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক সংহত রেখে বিরোধী ভোট যতটা সম্ভব ভাগ করার ব্যবস্থা করা। এই কৌশলে বলীয়ান হয়ে বিজেপি একের পর এক রাজ্যে সরকার গঠন করেছে। আর বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে গেলে যে কী হতে পারে, উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচন তার প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দুর্ভেদ্য দুর্গ গোরক্ষপুর, উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যর আসন ফুলপুর পর্যন্ত হারাতে হয়েছে বিজেপি-কে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।