Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কংগ্রেসের কমল নাথ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মধ্যপ্রদেশের ভোটের ফল স্পষ্ট হতেই কংগ্রেসকে সমর্থন জানালেন মায়াবতী। পাশে দাঁড়িয়েছেন অখিলেশও। ফলে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠনে কংগ্রেসের সামনে আর কোনও বাধা রইল না। সেখানে মুখ্য মন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে কমল নাথকে নিশ্চিত করেছে কংগ্রেস। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
কংগ্রেসের ১১৪টি আসনের সঙ্গে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) দু’টি আসন এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একটি মিলিয়ে নিয়ে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াল ১১৭। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় প্রয়োজন ১১৬ আসন। উত্তরপ্রদেশের দুই দল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানোয় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও গো-বলয়ে নতুন সমীকরণের সূত্রপাত হল বলেই মনে করছে ভারতের রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বুধবার সকাল আটটা। ২৪ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি কাটিয়ে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার চূড়ান্ত ফলাফলে কংগ্রেসের দখলে ১১৪টি আসন। ১০৯টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। অন্যান্যদের মধ্যে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) দু’টি, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) একটি এবং সতন্ত্ররা ৪টি আসন পেয়েছে।
মায়াবতী মঙ্গলবার বলেছিলেন, বিজেপিকে সমর্থন করবেন না। তখনই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। আর বুধবার চূড়ান্ত এই ফল সামনে আসার পরই সাংবাদিক সম্মেলন করে মায়াবতী জানিয়ে দিলেন, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকেই সমর্থন করছে তার দল। প্রয়োজন পড়লে রাজস্থানেও কংগ্রেসের হাত ধরবেন তিনি। বিএসপি সুপ্রিমো এদিন বলেন, ‘মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগড়ের ভোটের ফলে এটা স্পষ্ট যে, মানুষ বিজেপি এবং তাদের জনবিরোধী নীতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর কোনও বিকল্প না থাকায় কংগ্রেসকে সমর্থন করছি।’ উত্তরপ্রদেশের এসপি-র সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও ঘোষণা করেছেন, কংগ্রেসকেই সমর্থন করবে তার দল।
মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি রাকেশ সিংহ অবশ্য মঙ্গলবার রাতে টুইট করেন, ‘রাজ্যের রায় কংগ্রেসের পক্ষে যায়নি। সতন্ত্র প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।’ তবে মায়াবতীর সমর্থনের পর সেই দাবির আর কোনও তাৎপর্য রইল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ