মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেন চাইলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে থাকতেও পারে না চাইলে চুক্তি অনুযায়ী বের হয়েও যেতে পারে। ঢাকঢোল পিটিয়ে আর ঘরে তুলবে না। ব্রেক্সিট নিয়ে নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্যে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন। প্রায় ১৮ মাসের আলোচনা আর বিতর্কের পর গত মাসে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায় উভয়পক্ষ। সমঝোতার পর বল এখন ব্রিটেনের কোর্টে। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র কাজ এখন পার্লামেন্টে চুক্তিটি পাস করিয়ে নেয়া। কিন্তু চুক্তিটিকে ত্রুটিপূর্ণ ও ব্রিটেনের স্বার্থবিরোধী আখ্যায়িত করে এতে সমর্থন না দেয়ার ব্যাপারে একজোট হয়েছে তেরেসার দলের অনেক এমপিসহ বিরোধীরা। এ নিয়ে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয়ের আশঙ্কায় আগেই ভোটাভুটি বাতিল করেন থেরেসা। এক মাসেরও বেশি সময় পিছিয়ে দিয়ে আগামী ২১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন ভোটাভুটির তারিখ। ইইউ’র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসবেন বলেও জানান তিনি। কিন্তু ‘নতুন করে আর কোনো আলোচনার সুযোগ নেই’ বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইইউ নেতারা। ফলে ‘ব্রেক্সিট সংকটে’ ডুবতে বসেছে থেরেসা ও তার সরকার। মঙ্গলবার বিবিসি ও এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এক রায়ে ইইউ’র শীর্ষ আদালত জানান, যুক্তরাজ্য চাইলে সিদ্ধান্ত বদলে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চে ব্রেক্সিটের নির্ধারিত সময়ের আগে ইইউতে ফিরে আসতে পারবে। সোমবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটি বাতিল করার পরই থেরেসা জানান, আলোচনার উদ্দেশ্যে ফের ইউরোপ যাবেন তিনি। মঙ্গলবার সকালেই যাত্রা করেন তিনি। এদিন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপরও তার নিজ দলের এমপি ও বিরোধীরা তার এ চুক্তি মানবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। এর মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান জা ক্লদ জাঙ্কার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন করে আলোচনার সুযোগ নেই। অপর এক খবরে বলা হয়, শেষ মুহূর্তে ব্রেক্সিট চুক্তিতে কিছু পরিবর্তন আনতে মারকেলের সাহায্য চেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বাণিজ্য ও আর্থিক বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্যই এ সাহায্য চাইবেন তিনি। চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাজ্য। গত সোমবার থেরেসা মে স্বীকার করেন, ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা তার বর্তমান চুক্তিটি মেনে নেবে না। এর পর থেকে ব্রেক্সিট নিয়ে শুরু হয়েছে চরম উত্তেজনা। আইনপ্রণেতাদের কাছে চুক্তিটি গ্রহণযোগ্য করতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য চাচ্ছেন থেরেসা মে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, তারা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াটি কীভাবে সহজ করা যায়, এ বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে চুক্তি প্রত্যাহার কিংবা বিতর্কিত আইরিশ সীমান্ত নিয়ে পুনরায় কোনো মধ্যস্থতা হবে না বলেও জানিয়েছে তারা। এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।