মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২৪ ঘণ্টা পর মধ্যপ্রদেশের ভোটের ফল স্পষ্ট হতেই কংগ্রেসকে সমর্থন জানালেন মায়াবতী। পাশে দাঁড়িয়েছেন অখিলেশও। ফলে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠনে কংগ্রেসের সামনে আর কোনও বাধা রইল না। সেখানে মুখ্য মন্ত্রী হিসেবে কামাল নাথকে নিশ্চিত করেছে কংগ্রেস। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
কংগ্রেসের ১১৪টি আসনের সঙ্গে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) দু’টি আসন এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একটি মিলিয়ে নিয়ে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াল ১১৭। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। উত্তরপ্রদেশের দুই দল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানোয় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও গো-বলয়ে নয়া সমীকরণের সূত্রপাত হল বলেই মনে করছে ভারতের রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বুধবার সকাল আটটা। ২৪ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি কাটিয়ে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার চূড়ান্ত ফলাফলে কংগ্রেসের ঝুলিতে ১১৪টি আসন। ১০৯টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। অন্যান্যদের মধ্যে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)দু’টি, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) একটি এবং নির্দলরা ৪টি আসন দখল করেছে।
মঙ্গলবার বলেছিলেন, বিজেপিকে সমর্থন করবেন না। তখনই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। আর বুধবার চূড়ান্ত এই ফল সামনে আসার পরই সাংবাদিক বৈঠক করে মায়াবতী জানিয়ে দিলেন, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকেই সমর্থন করছে তার দল। প্রয়োজন পড়লে রাজস্থানেও কংগ্রেসের হাত ধরবেন তিনি। বিএসপি সুপ্রিমো এদিন বলেন, ‘মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ের ভোটের ফলে এটা স্পষ্ট যে, মানুষ বিজেপি এবং তাদের জনবিরোধী নীতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর কোনও বিকল্প না থাকায় কংগ্রেসকে সমর্থন করছি।’ উত্তরপ্রদেশের অন্য এসপি-র সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও ঘোষণা করেছেন, কংগ্রেসকেই সমর্থন করবে তার দল।
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে মঙ্গলবারই সরকার গঠনের আর্জি জানিয়ে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেয় কংগ্রেস। কিন্তু গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল জানিয়ে দেন, চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হওয়ার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
বুধবার সকাল আটটা নাগাদ চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর আবার রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন দলের নেতারা। এবার মায়াবতীর সমর্থন পেয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেসের সামনে যেমন আর কোনও বাধা রইল না, তেমনই বিজেপির পক্ষেও সরকার গঠনের দাবি জানানো কঠিন হয়ে পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি রাকেশ সিংহঅবশ্য মঙ্গলবার রাতে টুইট করেন, ‘রাজ্যের রায় কংগ্রেসের পক্ষে যায়নি। নির্দল প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।’ তবে মায়াবতীর সমর্থনের পর সেই দাবির আর কোনও তাৎপর্য রইল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।