মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সপ্তাহান্তে নিহত দুই কাশ্মীরি তরুণের দাফন অনুষ্ঠানে সোমবার হাজার হাজার শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। গ্রামবাসী দুই তরুণের লাশ নিয়ে যান উত্তরাঞ্চলীয় হাজিন শহরের ‘শহীদী গোরস্তানে’ দাফনের জন্য। এসময় তারা ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের নকল করে ¯েøাগান দেয় এবং হিমালয়ান অঞ্চলটির উপর ভারতীয় শাসনের অবসান দাবি জানায়। দুই তরুণের জানাযায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা লোকজনকে জানাযায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিতে তিনবার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ জানায়, দুই বন্ধু ১৪ বছর বয়সী মুদাচ্ছির রাশিদ পাররে ও ১৭ বছর বয়সী সাকিব বিলাল শেখ গত আগস্টের শেষ দিকে বিদ্রোহী দলে যোগ দেয়। পুলিশের মতে, তিন দশক ধরে চলা কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিদ্রোহী দলে যোগ দেয়া সবচেয়ে কম বয়সী বালক ছিলো পাররে। কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। দুই দেশ এই ভূখÐের আংশিক দখল করে থাকলেও প্রত্যেকে পুরোটাই দাবি করছে। স্থানীয় অধিবাসী আজহার আহমেদ বলেন, জীবনে-মরণে দুজনে বন্ধু হয়ে রইলো। আমরা দুই উচ্ছল শিশুকে হারালাম। সবার চোখ ভেজা। তারা একই কারণে বেঁচে ছিলো, মারাও গেছে একই কারণে। রোববার প্রায় ১৮ ঘন্টা ধরে চলা বন্দুক যুদ্ধে এক জঙ্গি কমান্ডারসহ এই দুই তরুণ নিহত হয়। এর জের ধরে সারা রাজ্যে আবরো প্রবল ভারত বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরো পাঁচজন আহত হয়। বন্দুক যুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত তিন জন অফিসার ও জওয়ান আহত হয়। সোমবার জানাযা ও দাফনের পরপরই হাজার হাজার মানুষ হাজিনের রাস্তায় নেমে আসে। তারা ‘ভারত ফিরে যাও’, ‘আমরা স্বাধীনতা চাই’, ইত্যাদি ¯েøাগান দেয়। এসময় সরকারি বাহিনীর সঙ্গেও তাদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী শটগানের গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছোঁড়ে। বেশিরভাগ কাশ্মীরি বিদ্রোহীদের দাবিগুলো সমর্থন করেন। এই ভূখÐটিকে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত অথবা গোটা কাশ্মীরকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবি জানান। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে অনেক তরুণ কাশ্মীরিকে বিদ্রোহীদের প্রতি প্রকাশ্যে সংহতি জানাতে দেখা যায়। বিদ্রোহীদের পাকরাও করতে সেনাবাহিনী যখন অভিযান চালায় তখন কাশ্মীরি তরুণরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে সেনাদের বাধা ও বিদ্রোহীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।