মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সহিংস বিশ্বে রোজ সৃষ্টি হচ্ছে শরণার্থী। যুদ্ধ, নির্যাতন, নির্বিচারে হত্যার ফলে প্রাণ বাঁচাতে নিজ দেশ ছেড়ে অন্যদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। বিগত এক দশকে শরণার্থী ও অভিবাসীদের ঢল বেড়েছে নানা কারণে। তাই বিশ্বজুড়ে এখন নতুন করে অভিবাসন চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, শরণার্থী চুক্তিও এই মুহূর্তে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে মরক্কোর ম্যারাকেশে এই চুক্তির বিরোধিতা করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য ১৯২টি সদস্য রাষ্ট্রের সবাই এই চুক্তিতে সমর্থন জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল অভিবাসন চুক্তিই প্রত্যাখ্যান করেনি, শরণার্থী বিষয়ক বৈশ্বিক চুক্তিও অনুমোদন করেনি দেশটি। এই প্রস্তাবিত চুক্তি 'মার্কিন অভিবাসন ও শরণার্থী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে মনে করে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও চুক্তিটি মানতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। আর পাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনেরও কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, এই চুক্তিতে এমন কিছু নীতিমালা রয়েছে, যা বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই শরণার্থী সংকট মোকাবেলার মাধ্যমে প্রাণহানি রোধ করতে পারবে। তবে এর সর্বোচ্চ ফল পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন।
জার্মানির শরণার্থী বিশ্লেষক মার্টিন এঙ্গলার মনে করছেন শরণার্থী সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বিশ্বজুড়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন পুনর্বাসিত অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছে। এ ধারা ট্রাম্পের মেয়াদের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এবং ট্রাম্প নিজে বিশ্বজুড়ে এ বিষয়ক যে নীতির প্রচার করছেন, সেটিই সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। অনেক সরকার এখন তার অবস্থানকে উদাহরণ হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।
অর্থনৈতিক অভিবাসীদের ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে একটি নির্দিষ্ট মান বজায় রাখার নিমিত্তে জাতিসংঘের অভিবাসন চুক্তিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনীতিবিদরা এর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, এই চুক্তির ফলে কোনো রাষ্ট্রের নিজস্ব আইন পাল্টে নিয়ন্ত্রণহীন অভিবাসনের পথ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। চুক্তির খসড়ায় অবশ্য স্পষ্ট করেই বলা আছে, প্রতিটি দেশ নিজেদের অভিবাসন নীতি নির্ধারণ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।