Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জামিনে বেরিয়ে ফের প্রশ্ন ফাঁস

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দিতে চুক্তি হতো ৫-১০ লাখ টাকায়। পরীক্ষা চলাকালীন অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে সেসব চাকরিপ্রার্থীদের দিতেন সমাধান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সোহেল রানা, মাহমুদুল, আনসারুল ইসলাম, দেবাশীষ, পরীক্ষার্থী রবিউল আউয়াল, রাজিউর রহমান ও রেজাউল করিম। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮টি প্রশ্নপত্র পাঠানোর ডিভাইস, ২৯টি ব্যাটারি, ৩টি পেনড্রাইভ, ৯টি ব্লটুথ ডিভাইস, ৯টি বিভিন্ন অপারেটরের সিমকার্ড ও ৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আটকরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সেটি সমাধানের জন্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতেন। এসব পরীক্ষায় চুক্তি অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করতেই চক্রের কয়েকজন সদস্য পরীক্ষার্থী সেজে হলে ঢুকতেন। সেখানে প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া মাত্র ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ছবি তুলে বাইরে থাকা চক্রের অন্য সদস্যের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। এতে বাইরে থাকা সদস্যরা দ্রুত প্রশ্নপত্র সমাধান করে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে চুক্তি হওয়া পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।

তিনি বলেন, আটক সোহেল রানা এর আগেও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে তিনি কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও এই কাজ শুরু করেন। সোহেলই এই চক্রের মূলহোতা। মাহমুদুর, আনসারুল ও দেবাশীষ তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। চক্রটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী রবিউল, রেজাউল ও রাজিউলের সঙ্গে ৫-১০ লাখ টাকার চুক্তি করেছিল। চূড়ান্ত নিয়োগের পর এই টাকা পরিশোধ করবে বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় আসামিরা।

ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকতে আয়োজকদের কোনও সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও কারো সম্পৃক্ততার তথ্য আমরা পাইনি। তবে আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ