নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিভাবে প্রতিপক্ষের হাত থেকে লাগাম ছিনিয়ে নিয়ে টেস্ট সিরিজ জিততে হয় সেটাই যেন পাকিস্তানকে শিখিয়ে দিলো নিউজিল্যান্ড। ৭ উইকেটে ৩৫৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ১২৩ রানে ম্যাচের সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে কিউইরা।
প্রায় অর্ধশতাব্দী পর দেশের বাইরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড। শেষ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজ জিতেছিল তারা। অথচ এই আরব আমিরাত পাকিস্তানের জন্য এক প্রকার ঘরের মাঠ। প্রায় এক দশক এখানো কোন সিরিজ হারেনি তারা। গতকাল থেকে এই পরিসংখ্যান অতীত।
এই আবু ধাবিতেই তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চরম নাটকীয়তার পর মাত্র ৪ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে জয়ের জন্য মাত্র ২৩ রানও তুলতে পারেনি তারা। অলআউট হয়েছিল ১৭১ রানে। দুবাইয়ে সরফরাজ আহমেদের দল তার ক্ষেদ মেটায় কিউইদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে। দুবাই থেকে আবু ধাবিতে ফিরে আবারো বরণ করতে হয়েছে হারের মাল্য। এবারেরটা অবশ্য আগের মত নাটকীয়ভাবে নয়। তবে প্রথম তিন দিন এগিয়ে ছিল পাকিস্তানই। শেষ দুই দিনে কি দারুণভাবেই না ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ বের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
গতকাল শেষ দিনের শুরুটাই ছিল আক্রমণাত্বক। উইকেটের দিকে না তাকিয়ে সপাটে ব্যাট চালিয়ে ৯ ওভারে ৮১ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এদিন কোন রান যোগ করতে পারেননি আগের দিন ১৩৯ রানে অপরাজিত থাকা উইলিয়ামসন। তবে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১২৬ রানে অপরাজিত থেকে যান হেনরি নিকোলস। পাকিস্তানের সামনে দাঁড়ায় ২৮০ রানের লক্ষ্য। যে লক্ষ্যে খেলতে নেমে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে তারা ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। বাকি সময়ে দুটি ত্রিশোর্ধো জুটিতে পরাজয়ের ক্ষণটাই দীর্ঘায়িত করেন বাবর আজম। ষষ্ঠ উইকেটে সরফরাজ-বাবর গড়েন সর্বোচ্চ ৪৩ রানের জুটি। ৫৬.১ ওভারে যখন তাদের ইনিংস ১৫৬ রানে শেষ হয় তখনও দিনের প্রঅয় দুই ঘণ্টা বাকি। নিউজিল্যান্ডের ‘উইকেট পার্টি’তে যোগ দেন প্রায় সবাই। তিনটি করে উইকেট নেন সাউদি, আজিজ প্যাটেল ও অভিষিক্ত সামারভিল। তবে বোলার নয়, পাকিস্তানকে হারতে হয়েছে মূলত কেন উইলিয়ামসনের কাছে। ৬০ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে তো পথ দেখিয়েছেন তিনিই। হ্যাঁ, ২১২ রানের জুটিতে অবদান আছে নিকোলসেরও। তবে কেনকে এগিয়ে রাখতে হচ্ছে প্রথম ইনিংসেও অনবদ্য ৮৯ রানের ইনিংসের কল্যাণে। ম্যাচসেরা বেছে নিতে তাই নির্বাচকদের তেমন ভাবতে হয়নি।
ম্যাচটি ইতিহাসে লেখা থাকবে ইয়াসির শাহর কল্যাণেও, দ্রæততম দুইশ উইকেট শিকারি বোলার হিসেবে। ম্যাচটি ভুলতে পারবেন না মোহাম্মদ হাফিজও। এটিই সে সাদা পোষাকে পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
নিউজিল্যান্ড : ২৭৪ (উইলিয়ামসন ৮৯, ওয়াটলিং ৭৭*; বিলাল ৫/৬৫) ও ৩৫৩/৭ ডিক্লে. (উইলিয়ামসন ১৩৯, নিকোলস ১২৬*, ইয়াসির ৪/১২৯)। পাকিস্তান: ৩৪৮ (আজহার (১৩৪, শফিক ১০৪; সামারভিল ৪/৭৫) ও ১৫৬ (বাবর ৫১, সরফরাজ ২৮; এজাজ ৩/৪২, সামারভিল ৩/৫২, সাউদি ৩/৪২)। ফল: নিউজিল্যান্ড ১২৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : কেন উইলিয়ামসন। সিরিজ : নিউজিল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী। সিরিজসেরা : ইয়াসির শাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।