Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে প্রতিরক্ষা কর্মীদের অবরোধের ডাক

বিক্ষোভে চার লাখ প্রতিরক্ষা চাকরিজীবী কর্মী অংশ নেবে বলে ধারণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কৃষকদের পর, এবার ভারতব্যাপী অবরোধের ডাক দিয়েছে প্রতিরক্ষা বিভাগের চাকরিজীবী কর্মীরা। তারা নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য আগামী বছরের ২৩-২৫ জানুয়ারি সারা দেশে অবরোধের ডাক দিয়েছে। এই অবরোধ বিক্ষোভে চার লাখ প্রতিরক্ষা চাকরিজীবী অংশ নিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা বলছে যে, যেভাবে মোদি সরকার প্রতিরক্ষা খাতকে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর হাতে তুলে দিচ্ছে, সে ক্ষেত্রে চাকরিজীবীরা টিকে থাকার সমস্যায় পড়বে। ৪১টি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির মধ্যে ২১টিই বর্তমানে গভীর সঙ্কটে রয়েছে। বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপির শ্রমিক ইউনিয়নও এই অবরোধে অংশ নিচ্ছে। সবগুলো শ্রমিক ইউনিয়ন বলেছে যে, মোদি সরকার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের নামে ভারতের বর্তমান প্রতিরক্ষা উৎপাদন সক্ষমতাকে পাশে সরিয়ে রেখেছে। এর আগে, অল ইন্ডিয়া ডিফেন্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশনও সারা দেশে অবরোধের ডাক দিয়েছিল, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু আশ্বাস সত্তে¡ও সরকার শুধু অর্ডার কাটছাটই করেনি বরং প্রতিশ্রুতির বিপরীতে গিয়ে ১৪টি ইএমই ওয়ার্কশপ বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে ডিফেন্স-সিভিল শ্রমিকদের তিনটি রেজিস্টার্ড ইউনিয়ন জানুয়ারিতে অবরোধের ডাক দিয়েছে। বিভিন্ন অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে ৫০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এসএম পাঠাকের, যিনি বাস করছে জাবালপুরে। তিনি বললেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির বদলে মোদি সরকার বর্তমান চাকরিজীবীদের কাছ থেকে চাকরি কেড়ে নিয়ে গেছে। “জাবালপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির অবস্থা এখন খুব একটা সুবিধার নয়। অর্ডারে কাটছাটের কারণে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি আমাদের দাবির সাথে সম্মত হয়েছে এবং বার্ষিক সরাসরি নিয়োগ পরিকল্পনা বাদ দিয়েছেন। ফলে, প্রতিরক্ষা শিল্পে প্রচুর তরুণদের নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ-দক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও একই সাথে চলছে”। “কিন্তু মোদি সরকার যখনই দায়িত্ব নিয়েছে, তারা আবারও বার্ষিক সরাসরি নিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। ফলে নতুন নিয়োগ এখন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে এবং কাজের জন্য বাইরে থেকে লোক নেয়া হচ্ছে। প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর কমিশন কাটছাটের বিষয়টি অর্ডিন্যান্স কারখানাগুলোতে ছিল না, যেগুলো পরিচালিত হয় জনগণের অর্থে। এর বিরুদ্ধেই সারা দেশে অবরোধের ডাক দেয়া হয়েছে”। ইনডিয়ান এক্সপ্রেস।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ