মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ১০ ডিসেম্বর মিয়ানমার যাবেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সফরে তিনি মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উ উইন মিয়ান্ট ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও বেশ কিছু কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিকস টাইমস জানিয়েছে, এই সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের আশা করা হচ্ছে। এছাড়া রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারতের নির্মাণ করে দেওয়া ৫০টি বাড়ি হস্তান্তর করবেন কোবিন্দ।
রাখাইনে রোহিঙ্গা নিপীড়নের কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হলেও ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়েছে। গত তিন বছরে দেশ দুটির শীর্ষ নেতারা নিয়মিত পরস্পরের দেশে সফর করেছেন। এসব সফরের ফলে মিয়ানমারের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরালো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে।
গত বছর মিয়ানমার সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আসিয়ানের স্মারক সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফর করেন অং সান সু চি। আর এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সফরের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে মিয়ানমারকে ভারতের ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি’ বলে উল্লেখ করেন বিজয় গোখলে। এছাড়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের যোগাযোগে মিয়ানমার সংযোগ হিসেবে কাজ করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত বছর রাখাইন রাজ্য উন্নয়ন কর্মসূচি নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত ও মিয়ানমার। চুক্তি অনুযায়ী ফেরত আসা বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাড়ি নির্মাণে মিয়ানমারের সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে ভারত। প্রথম ধাপে এরকম ২৫০টি বাড়ি নির্মাণের কথা রয়েছে। তবে এই সফরের সময়ে রাষ্ট্রপতি প্রথম ৫০টি বাড়ি মিয়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত থাকা একমাত্র দেশ হিসেবে নিশ্চিতভাবে আমরা বিশ্বাস করি এটা আমাদের স্বার্থ এবং এই অঞ্চলের স্বার্থ। আর এই দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োগ করা হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিলের হিসাবে রাখাইন রাজ্যে সেনা নিপীড়নের মুখে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ৯৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।