২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
শিশুর জন্য মায়ের দুধের চেয়ে ভাল খাবার হতে পারে না। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক আছে, যা শিশুর শরীরে ইনফেকশন রোধে সাহায্য করে থাকে । যে-সব শিশু মায়ের দুধ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়, তারা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। অনেক সময় শিশু মায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পায় না। প্রাকৃতিক কিছু উপায়ে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান ঃ বুকের দুধ বৃদ্ধির সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। এজন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমানে পানি পান। প্রতিদিন ৮-১০গøাস পানি পান করুন। এটি প্রাকৃতিকভাবে বুকের দুধ বৃদ্ধি করবে।
ঘন ঘন বাচ্চাকে দুধ দিন ঃ চেষ্টা করুন বাচ্চাকে দিনে তিন ঘন্টা এবং রাতে চার ঘন্টা পরপর দুধ খেতে দিতে। যত বেশি দুধ খাওয়ানো হয় তত বেশি দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে।
গরম দুধ এবং জিরা পান করুন ঃ এক গøাস গরম দুধের সঙ্গে এক চা-চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। বুকের দুধ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটি শরীরের আয়রনের ঘাটতি দূর করে থাকে।
পাশ পরিবর্তন ঃ একটি স্তনের দুধ সম্পূর্ণ খাওয়া হয়ে গেলে তবে আরেকটি স্তনের দুধ খেতে দেবেন। খুব ঘন ঘন স্তন পরিবর্তন করবেন না। দুধ খাওয়ানোর সময় বাচ্চাকে কিছুটা উপরের দিকে তুলে ধরে শরীর থেকে কিছুটা দূরে রেখে দুধ খাওয়ান। এভাবে বাচ্চা বেশি দুধ পাবে। দুধ খাওয়ানোর সময় নির্দিষ্ট করবেন না ঃ দুধ খাওয়ানোর সময় নির্দিষ্ট করবেন না। যখন দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে তখনই বাচ্চাকে খাওয়নোর চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন দুধ খাওয়ানোর জন্য উভয় স্তন ব্যবহার করতে। এতে দুই স্তনে দুধ বৃদ্ধি পাবে।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ঃ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনুন। সবুজ শাক-সবজি, ডিম, দুধ, রসুন, আঙুরের রস, ফলের রস, মুরগির মাংস প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। এসব খাবার বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে থাকে।
গরম দুধ এবং দারুচিনি ঃ একগøাস গরম দুধের সঙ্গে এক চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন তা পান করুন। এটি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
রসুন ঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ কোয়া রসুন খেতে পারেন। এটিও বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। কাঁচা রসুন খেতে না পারলে রান্নায় রসুন ব্যবহার করুন। এছাড়া এক কাপ পানিতে ৩ কোয়া রসুন সেদ্ধ করতে দিন। পানি কমে অর্ধেক হয়ে গেলে এতে এক কাপ দুধ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে চুলো নিভিয়ে নিন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য মধু মেশাতে পারেন। এটি প্রতিদিন সকালে পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমও বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। দৈনিক খাবারের কিছু পরিমাণে বাদাম রাখতে পারেন। দুশ্চিন্তা না করে বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ খাওয়ানোর চষ্টা করুন। দেখবেন বাচ্চা পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাচ্ছে।
সাংবাদিক কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।