মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাবরি মসজিদ ধ্বংস ২৭ বছরে পা দিল আজ। ১৯৯২ সালের এই দিনে উগ্রহিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ভারতের উত্তর প্রদেশের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে পরিকল্পিতভাবে ধূলিসাৎ করে দেয়। ধর্মের নামে ইতিহাস বিকৃত করে তারা প্রচারাভিযান চালিয়েছে যে, জহিরুদ্দীন মুহাম্মদ বাবর রামমন্দির ধ্বংস করে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের হোতা যে ‘সঙ্ঘ পরিবার’, ভারতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন বিজেপি দল তাদের অন্তর্ভুক্ত। এ দলের বিপুল নেতাকর্মীও সে দিন আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উগ্রপন্থীদের সাথে শামিল হন বাবরি মসজিদ ধ্বংসে। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা ভারতের কংগ্রেস সরকার তখন ক্ষমতায় ছিল; কিন্তু সে সরকার, পুলিশ ও প্রশাসন এই জঘন্য কর্মে কোনো বাধা তো দেয়ইনি, বরং বাবরি মসজিদ যাতে অবাধে ভেঙে ফেলা যায়, সে ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল। ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ। কট্টর হিন্দুরা এই মসজিদ ধ্বংসের তান্ডবকে কেন্দ্র করে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গায় লিপ্ত হয়েছিল। অপর দিকে ভারতের সত্যিকার গণতন্ত্রকামী ও অসাম্প্রদায়িক মহলসমেত বিশ্বের বিবেকবান মানুষমাত্রই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের তীব্র নিন্দায় হয়েছেন সোচ্চার।
২৭তম বাবরি মসজিদ দিবস এমন সময় এসে উপস্থিত হয়েছে যখন ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এই মসজিদ ধ্বংসের সাথে জড়িত গেরুয়া গোষ্ঠী। তাদের মদদে গত সপ্তাহে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বাজরং দলসহ হিন্দু জঙ্গিরা আরেক দফা আস্ফালন দেখিয়ে গেল অযোধ্যায় এসে। তারা নির্মাণসামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হয় রাম মন্দির নির্মাণের মহড়া দিতে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ দখলের লক্ষ্যে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বাজরংপুষ্ট বিজেপি রথযাত্রা শুরু করছে আজ কোচবিহার থেকে এবং তা শেষ হবে আগামী ১৬ জানুয়ারী কোলকাতায়। বসে নেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আগ্রহী বিভিন্ন দল। তারা আজ গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে।
লক্ষ্য করা গেছে, ভারতের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোট টানতে বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির নির্মাণের ইস্যুকে সামনে এনে হিন্দুত্ববাদীদের উস্কে দিয়েছে। ২০১৯ সালের আসন্ন নির্বাচনকে টার্গেট করে চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিরা আবারো সেই লক্ষ্যেই সারা ভারতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।