পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে জাতিগত নির্মূল, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম। নৃশংসতা বিশেষজ্ঞ একদল উপদেষ্টার পরামর্শ নিয়ে করা সতর্ক বিশ্লেষণ, ২০১৭ সালে ফর্টিফাই রাইটসের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশ করা প্রতিবেদনের মৌলিক গবেষণা এবং সম্প্রতি প্রকাশ করা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের তথ্যের ভিত্তিতে হলোকাস্ট মিউজিয়াম এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। মিউজিয়াম পরিচালনা কাউন্সিলের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির গণহত্যা রোধ কার্যক্রমে পরামর্শ দেওয়া কমিটির সভাপতি লি ফিনস্টেইন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বার্মিজ (মিয়ানমার) সেনাবাহিনীর অভিযান, বিশেষ করে ২০১৭ সালের আগস্টের হামলা ছিল ইচ্ছাকৃত, পদ্ধতিগত ও ব্যাপক।’ মিয়ানমার সরকার কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া এবং অনেক গণসহিংসতার শিকার বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম। মিউজিয়ামের গণহত্যা রোধ কেন্দ্রের পরিচালক নওমি কিকোলার বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণের উপসংহার হলো, জোরালো প্রমাণ রয়েছে যে বার্মিজ কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে।’ ‘রোহিঙ্গা ভুক্তভোগীরা নিজেদের পরিত্যক্ত ভাবে। তাদের নিপীড়নের বিষয়ে বিশ্ব চোখ বন্ধ করে আছে, যেমনটি হলোকাস্টের ভুক্তভোগীদের বিষয়ে ছিল,’ যোগ করেন নওমি। মিউজিয়ামের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মিয়ানমারের কাচিন ও শানসহ অন্য ধর্মীয় ও জাতিগত সম্প্রদায়গুলোও দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে গণনৃশংসতার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।