Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে গণধর্ষণ : গ্রেফতার ৬

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে গার্মেন্টকর্মী স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। ধর্ষিতাকে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রোববার গভীর রাতে একই এলাকার নাছির নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ভুক্তভোগী ঐ নারী ও তার স্বামীকে কক্ষে আটকে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নরসিংহপুর এলাকার মো. জিন্নাহ’র ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২২), একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আজাদ হোসেন (২৪), জলিল সরকারের ছেলে রানা সরকার (২৮), কোণাপাড়া এলাকার আব্দুল সোবহান শেখের ছেলে রবিউল শেখ (২০), একই এলাকার মো. রিয়াজুলের ছেলে রুবেল (২২) ও ঘোষবাগ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (২৪)। তবে রজন নামে জড়িত একজন পলাতক রয়েছে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজিকুল ইসলাম জানান, রবিবার সন্ধ্যায় নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে গার্মেন্টকর্মী স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যায় তার স্বামী। এসময় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য তাহের মৃধার ম্যানেজার রজন, তার সঙ্গী রবিউলসহ সাত জন ঐ দম্পতিকে আটকে তারা স্বামী-স্ত্রী কি না সে ব্যাপারে জানতে চায়।
পরে সোনা মিয়া মার্কেট এলাকার নাছিরের বাড়িতে স্বামী ও স্ত্রীকে পৃথক কক্ষে আটকে রাখে। এসময় রাজনসহ তার সঙ্গীয়রা গভীর রাত পর্যন্ত গার্মেন্টকর্মী ঐ নারীকে একটি কক্ষে আটকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট মুঠোফোনে ঐ দম্পতির মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবী করে ধর্ষণকারীরা।
এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে রবিবার দিনগত রাত ১টার দিকে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করা হলে মুক্তিপণের টাকা প্রদানের শর্তে ফাঁদ পাতে পুলিশ। পরে রোববার গভীর রাতে সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় রবিউল ও রুবেল মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে সোনা মিয়া মার্কেট সংলগ্ন ইয়াপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাহের মৃধার অফিস থেকে এঘটনায় জড়িত আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ইউপি সদস্য তাহের মৃধার অনুসারী বলে জানিয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা (নং-৫) দায়ের করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী জানায়, ইউপি সদস্য তাহের মৃধা এলাকায় ধর্ষণ, চুরি, স্বেচ্ছাচারিতা, অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। তার রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তবে অভিযোগের সত্যতার ব্যাপারে ইউপি সদস্য তাহের মৃধার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ