বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তেলের জাহাজের এক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঘটনাটি ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর পুলিশ সোমবার দুপুরে বন্দর থানা এলাকার আমিরাবাদ ডকইয়ার্ড এলাকা থেকে হতভাগ্য ওই শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ওই শ্রমিকের নাম জাহিদ (৩০)। সে পিরোজপুর জেলার চলি¬শা গ্রামের আমির আলির ছেলে।
এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদের সহকর্মী মামুন ও সোহেলের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক(অপারেশন) আজিজুল হক জানায়, জাহিদসহ তারা কয়েকজন এসও এলাকার তেলের ব্যবসায়ি ইকবালের মালিকানাধীন এস.এস. ইশান-২ নামক একটি লাইটার জাহাজে কাজ করতো। শনিবার রাতে জাহিদের বন্ধু মাইনুদ্দিন ওই জাহাজে আসে তাদের সাথে দেখা করার জন্য। এসময় মাইনুদ্দিন জাহিদ, মামুন এবং সোহেলকে নিয়ে চটপটি খাওয়ার কথা বলে নৌকা নিয়ে আদমজী বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এসময় মাইনুদ্দিনের সাথে অপরিচিত আরো দুতিন জন লোক ছিলো। কিন্তু নৌকা ঘাটে না ভিড়িয়ে আদমজী ইপিজেডের দিকে নিয়ে যেতে থাকে মাইনুদ্দিন। এসময় ইপিজেড এলাকায় পৌছালে হঠাৎই মাইনুদ্দিন বড় এক ছুড়ি বের করে জাহিদের মাথায় আঘাত করতে থাকে। পরে ছোট একটি চাকু বের করে জাহিদের চেহারায় অসংখ্য আঘাত করতে থাকে মাইনুদ্দিন। এ দৃশ্য দেখে ভয়ে সোহেল নদীতে লাফ দেয়। এসময় মামুন লাফ দিতে গেলে মাইনুদ্দিনের সাথে থাকা লোকজন তাকে ধরে ফেলে। মাইনুদ্দিন মামুনকেও মারতে উদ্যোত হলে সে তার কাছে দুহাত জোর করে প্রাণ ভিক্ষা চায়। এসময় মাইনুদ্দিন মামুনকে বলে এখনি তর বাড়ি থেকে বিকাশে টাকা নিয়ে এসে চলে যাবি। আর এঘটনা কাউকে বললে তকেও মেরে ফেলবো। তখন ভয়ে সে তার কথায় রাজি হয়ে কোনরকমে সেখান থেকে চলে আসে। পরে সোহেল ও মামুন থানায় এসে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। এদিকে মাইনুদ্দিনের বড় ভাই রোকন উদ্দিনও একই জাহাজের শ্রমিক হিসেবে তাদের সাথে কর্মরত আছে। ঘটনার সময় রোকন জাহাজে ছিলো বলে জানায় পুলিশ। রবিবার দুপুরে জাহিদের লাশ উদ্ধারের পর বন্দর থানা পুলিশের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘাতক মাইনুদ্দিন রাজশাহী জেলার শাহ মখদুম থানার হরিসাড়ডান পাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। এঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পাশাপাশি আসামীকে আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।