পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাচ্যের ডান্ডি ও ম্যানচেষ্টার নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জের শিল্প-বাণিজ্যসমৃদ্ধ নগরী সিদ্ধিরগঞ্জ। শিল্প-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ এ উপজেলায় দিন দিন জনবসতি বেড়েই চলেছে। সেই সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতির সৌন্দর্যও। তাই সিদ্ধিরগঞ্জকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক)। এর একটি সিদ্ধিরগঞ্জ লেক।
হাতিরঝিলের আদলেই হচ্ছে লেকটি। এরই মধ্যে লেকের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের রূপ। এ বছরেই লেকের সম্পূর্ণ কাজ শেষে হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলটি একসময় আদমজী পাটকলের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। পাটকলের নিরাপত্তার স্বার্থে আদমজী পাটকলের সড়কের পাশে একটি কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল পানি সংরক্ষণ রেখে স্থানীয় জনগণ যেন এ পানি ব্যবহারের পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপণে কাজে লাগাতে পারেন। পরবর্তীতে এই এলাকায় জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় অবৈধ দখল-দূষণে জলাধারটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়।
বিলুপ্ত জলাধারটি উদ্ধার এবং নির্মল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সিটি গভার্নেন্স প্রকল্পের (সিজিপি) আওতায় ২০১৮-১৯ ইং অর্থবছরে সিদ্ধিরগঞ্জ পুনঃখননসহ রাস্তা, ড্রেন, ওয়াকওয়ে, ল্যান্ডস্কেপিংসহ সৌন্দর্যবর্ধন শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়। ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মে দুই ধাপে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রকল্পটির কাজের উদ্বোধন করেন।
নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের গলাকাটা পুল থেকে ৮নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারপুল পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার ডিএনডি খালের সৌন্দর্যবর্ধনে ৬৩ কোটি ৪৮ লাখ এবং লেকের ওপর ছয়টি ব্রিজ নির্মাণে ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স উদয়ন বিল্ডার্স প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় লেক খনন সাড়ে ৫ কিলোমিটার, আরসিসি ড্রেন তৈরি হচ্ছে ৪ কিলোমিটার, আরসিসি রাস্তা থাকছে সাড়ে ৫ কিলোমিটার, সিসি ব্লক দ্বারা লেকের পাড় বাঁধাই, ডিভাইডার ওয়াল সাড়ে ৫ কিলোমিটার, থাকছে এম্ফিথিয়েটার, নৌকা চালানোর ৯টি ঘাট। আরও থাকছে ভাসমান মঞ্চ তিনটি, ওয়াটার গার্ডেন তিনটি, ঝুলন্ত বাগান তিনটি, পাবলিক টয়লেট, ফোয়ারা থাকছে দুটি, ওয়েটিং সেড দুটি, প্ল্যানটার বক্স ১৫টি, ডাস্টবিন ২৮টি, স্ট্রিট লাইট সিঙ্গেল ২৮টি এবং ডাবল স্ট্রিট লাইন থাকবে ১৮২টি। এছাড়া এই প্রকল্পে দোলনা থাকবে ছয়টি, সুইং স্নাইট দুটি, ঢেঁকিকল সাতটি, ব্রিজের মই থাকবে তিনটি, সিটিং বেঞ্চ থাকছে ১৩২টি, আরসিসি ব্রিজ থাকছে তিনটি, ফুট ওভারব্রিজ থাকছে তিনটি।
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই লেকটির কাজ শেষ হলে এটি সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে। লেকের কাজ এখনো শেষ না হওয়া সত্ত্বেও যতদূর চোখ যায় যে কারোরই চোখ জুড়িয়ে যাবে। এ লেককে কেন্দ্র করে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের সমাগম হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আজগর হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, ২০২০ সালে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মহামারি করোনা এবং কিছু আনুষঙ্গিক কাজের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে এই প্রকল্পের বাজেট আগের মতোই রয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই লেকের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।