মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
স্ট্রং রুমে দীর্ঘক্ষণ সিসিটিভি বন্ধ ছিল। ভোটগ্রহণের দু’দিন পর নম্বর প্লেটহীন বাসে স্ট্রং রুমে পাঠানো হয়েছে ইভিএম। মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনে এমন একাধিক অনিয়ম ও অসঙ্গতি তুলে ধরে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। বিরোধীদের সেই ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন স্বীকার করে নিল, মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ওই স্ট্রং রুমে এক ঘণ্টারও বেশি সময় সিসিটিভি বন্ধ ছিল।
ভোপালের জেলাশাসকের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগ ওঠা ওল্ড জেল স্ট্রং রুমের বাইরে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা এবং এলইডি ডিসপ্লে স্ক্রিন ৩০ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা ১৯ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং-এর জেরে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ফলে ওই সময় সিসিটিভিতে কোনও ফুটেজ রেকর্ডিং করা সম্ভব হয়নি।
মধ্যপ্রদেশেরই সাগর জেলার খুরাই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের প্রায় আটচল্লিশ ঘণ্টা পর ইভিএম জমা দেওয়া হয়েছিল। বিরোধীদের এই অভিযোগেও মেনে নিয়েছে কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর পরই ইভিএম জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু দু’দিন পর তাও আবার নম্বর প্লেটহীন বাসে করে কেন ইভিএম নিয়ে আসা হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত নির্বাচনী আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আলাদা একটি ঘরে রাখা হয়েছে ওই ইভিএমগুলি।’
এ ছাড়া এই ওল্ড জেল স্ট্রং রুমেরই একটি দরজা খোলা ছিল বলে অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। সেই বিষয়টিও মেনে নিয়ে কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারই মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল এই সব অভিযোগ জানিয়ে আসে। দলের সাংসদ বিবেক তনখা বলেন, ‘সিসিটিভি বিকল থাকায় ওই সময়ের মধ্যে কারচুপি করা হয়েছে। আর দু’দিন পর যে কেন্দ্রের ইভিএম নিয়ে আসা হয়েছে, সেখানে প্রার্থী মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই কারণেই এই ভাবে কারচুপি করা হয়েছে।’ এ ছাড়া ছত্তীসগঢ়ের ধামতাড়ি কেন্দ্রের স্ট্রং রুমে সিসিটিভি সারানোর নামে ল্যাপটপ, মোবাইল নিয়ে সন্দেহভাজন লোকজন ঘোরাফেরা করেছে বলেও অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। ফলে কংগ্রেসের সব অভিযোগই কার্যত মেনে নিয়েছে কমিশন। আর এতেই দলের নেতারা মনে করছেন, ভোটের আগেই নৈতিক জয় হয়েছে তাদের। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।