Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তরের রোমাঞ্চ ছড়ানো ড্র

বিজয়ের শতক, রনির ৬ উইকেট

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে বগুড়ায় আগের দিনই ড্রয়ের আভাস দিয়ে রেখেছিল ফলো অনে পড়া দক্ষিণাঞ্চল। এনামুল হকের সেঞ্চুরিতে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে হার এড়াতে সক্ষমও হয়েছে তারা। তবে উত্তরাঞ্চলের এক উইকেট তুলে নিয়ে আবু হায়দারের দিয়ে রাখা চ্যালেঞ্চে জিততে পারেনি মধ্যাঞ্চল। শেষ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে হায়দারের ৬ উইকেট প্রপ্তিও মধ্যাঞ্চলকে জয়ে এনে দিতে পারেনি। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৫৫ রান তোলে উত্তরাঞ্চল।
হাতে ৯ উইকেট থাকলেও শেষ দিনের ভগ্ন পিচে ২৭৭ রানের লক্ষ্য পূরণ করা সহজ নয়। গতকাল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে উত্তরাঞ্চলের লড়াইটা ছিল তাই উইকেটে লেগে থেকে হার এড়ানো। সানজামুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামের ফিফটি ও শেষ বিকেলে প্রকৃতির সহায়তায় সেই লড়াইয়ে সফলও হয়েছে উত্তরাঞ্চল। বৃথা গেছে ৮৬ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া আবু হায়দার ও ৫৪ রানে ৩ উইকেট নেয়া রবিউল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিং।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে জুনায়েদ সিদ্দিককে হারালে শুরুটাই নড়বড়ে হয়ে পড়ে উত্তরাঞ্চলের। স্কোরবোর্ডে তখন ২ উইকেটে ১০। এরপর ৯৮ রানের জুটিতে দলকে লড়াইয়ে ফেরান সানজামুল। ফরহাদের (৪৭) বিদায়ে জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর একই ওভারে রবিউলের শিকার হয়ে নাঈম ইসলামও ফিরলে আবারো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় জহুরুল হকের দল। এবার অধিনায়ক জহুরুলকে নিয়ে শুরু হয় সানজামুলের লড়াই। এই পর্বে আসে ৯৬ রান। পেন্ডুলামের মত ঝুলতে থাকা ম্যাচ আবারো মধ্যাঞ্চলের দিকে ঝুঁকে পড়ে ২ রানের ব্যবধানে দুজনকেই তুলে নিলে। কিন্তু বাকিদের নিয়ে দিনের অবশিষ্ঠ সময় পার করে দেন সাব্বির রহমান। এজন্য প্রকৃতিকে একটা ধন্যবাদ নিশ্চয় দেবে উত্তরাঞ্চল। আলোক স্বল্পতার কারণে ১৩ ওভার মত খেলা কম হয়েছে। নইলে ফল ভিন্নও হতে পারত। আম্পায়ার যখন ম্যাচের ইতি ঘোষণঅ করেন উত্তরাঞ্চলের সংগ্রহ তখন ৯ উইকেটে ২৫৫। প্রথম ইনিংসেও মধ্যাঞ্চলের ২২০ রানের জবাবে তাদের সংগ্রহ ছিল ২৫৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যাঞ্চল ৩১৮ রান করলে মধ্যাঞ্চলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৪।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চলের শুরুটাও ভালো ছিল না। এদিন কোন রান যোগ না করেই মাহমুদুল হাসানের বলে লেগ বিফোর হয়ে যান আগের দিন ৮১ রানে অপরাজিত থাকা শাহরিয়ার নাফিস। ইনিংস হার এড়াতে তখনও করতে হত ৭৯ রান। তবে নাফিসের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করেছেন। সবচেয়ে বড় জুটিটা আসে তৃতীয় উইকেটে। তুষার-এনামুলের ৮৯ রানের সেই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন এনামুল হক জুনিয়র। আফিফের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৫৩ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ১৩৩ রান করেন এনামুল। ২৯ রানের ব্যবধানে আউট হন তুষার ও নুরুল হাসানও। তবে রাকিবুল হাসান আর মেহেদী হাসান আর কোন অঘটন ঘটতে দেননি। শেষ সেশনে ১৫ ওভার খেলা হওয়ার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। আব্দুর রাজ্জাকের দলের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ৩৭৭, এগিয়ে ১৬২ রান। প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চলের ৪৭৩ রানের জবাবে ২৫৮ রানে গুটিয়ে ফলো অনে পড়ে দক্ষিণাঞ্চল। পূর্বাঞ্চলের হয়ে দেড়শ রানের ইনিংস খেলা শামসুর রহমান হয়েছেন ম্যাচসেরা। অন্য ম্যাচে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন মধ্যাঞ্চলের পেসার ইবাদত হোসেন।
দুই ম্যাচে এক জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে মধ্যাঞ্চল। তাদের কাছে পরাজিত হওয়া বর্থমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল রয়েছে তালিকার তলানিতে। ভগ্নাংশের ব্যবধানে পূর্বাঞ্চলের চেয়ে এগিয়ে দুইয়ে উত্তরাঞ্চল।

 

পূর্বাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, রাজশাহী
পূর্বাঞ্চল : ৪৭৩ (শামসুর ১৫৩, ইয়াসির ১১২, রাজ্জাক ৫/১৭১)। দক্ষিণাঞ্চল : ২৫৮ (রাকিবুল ৬৬, মেহেদী ৮৬; এনামুল জুনি. ৪/১২১, মাহমুদুল ৩/৪৩) ও ফলো অনে পড়ে ১১৫ ওভারে ৩৭৭/৫ (এনামুল ১৩৩, নাফিস ৮১, রাব্বি ২২, তুষার ৪১, রাকিবুল ২৮*, নুরুল ১০, মেহেদী ৩৭*; আফিফ ২/৮৩, এনামুল জুনি. ২/১০৫)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা : শামসুর রহমান (পূর্বাঞ্চল)।
মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল, বগুড়া
মধ্যাঞ্চল : ২২০ (মাজিদ ৭৬, শুভাগত ৪৮; ইবাদত ৬/৫১) ও ৩১৮ (মোসাদ্দেক ১০৪, মোশাররফ ৫৪; মহোর ৫/৬৯, ইবাদত ৪/৮৮)।
উত্তরাঞ্চল : ২৫৫ (মিজানুর ৮১, নাঈম ৬১; শহিদুল ৬/৬৪) ও ২৫৫/৯ (সানজামুল ৯২, ফরহাদ ৪৭, জহুরুল ৫২, সাব্বির ২৬*; আবু হায়দার ৬/৮৬, রবিউল ৩/৫৪)। ফল : ম্যাচ ড্র।
ম্যাচসেরা : ইবাদত হোসেন (উত্তরাঞ্চল)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড্র


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ