নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসছে সপ্তাহে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এমার্জিং কাপের বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েই নিজেকে চেনালেন উত্তরাঞ্চলের তরুণ মিডিয়াম পেসার মোহর শেখ। ম্যাচে ১০ উইকেটের কোটা পূর্ণ করেছেন সতীর্থ ইবাদত হোসেন। তবে তাদের দলের বিপক্ষে দারুণ সেঞ্চুরিতে রানে ফিরে মধ্যাঞ্চলকে ভালো পুঁজি এনে নিয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন। ওদিকে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইসিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়ে রেখেছে দক্ষিণাঞ্চল।
বাংলাদেশ জাতীয় লিগে (বিসিএল) বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ম্যাচটি দিচ্ছে জয়-পরাজয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তির আভাস। এজন্য শেষ দিনে উত্তরাঞ্চলকে করতে হবে ২৭৭ রান, আর মধ্যাঞ্চলের দরকার ৯ উইকেট। ৩ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করা মধ্যাঞ্চচল ৯৫ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। ষষ্ঠ উইকেটে শুভাগত হোমকে নিয়ে ৬৭ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেন মোসাদ্দেক। ফিফটির আগেই ফেরেন শুভাগত। এরপর মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে মোসাদ্দেক গড়েন ১২৭ রানের জুটি। জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ১৬০ বলে ১১ চারে ১০৪ রান করা মোসাদ্দেকের বিদায়ে। এরপর ৯ ওভার স্থায়ী হয় উত্তরাঞ্চলের ইনিংস। তাতে ৩১৮ রানের ভালো পুঁজি পেয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৬৯ রানে মোহর নেন ৫ উইকেট। ৩ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় ৫ উইকেট শিকার। ৮৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আরেক পেসার ইবাদত হোসেন। প্রথম ইনিংসে ৫১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ইবাদত। ১৬ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন ২৪ বছর বয়সী। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় উত্তরাঞ্চলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৪। দিনের শেষ বলে দলীয় ৭ রানে মিজানুর রহমানের উইকেটটি হারিয়ে নড়বড়ে শুরু করে জহুরুল ইসলামের দল।
ওদিকে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে পূর্বাঞ্চলের ৪৭৩ রানের জবাবে ২৫৮ রানে গুটিয়ে ফলো অনে পড়ে দক্ষিণাঞ্চল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে অবিচ্ছিন্ন ১৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচানোর আভাস দিয়ে রেখেছেন শাহরিয়ার নাফিস ও এনামুল হক। তবে ইনিংস হার এড়াতে এখনো তাদের করতে হবে ৮০ রান।
এর আগে ৮৯ রান নিয়ে দিন শুরু করে চা বিরতির খানিক আগে হাতের ৬ উইকেট হারায় আব্দুর রাজ্জাকের দল। ১৬৩ রানে ৭ উইকেট হারানো দক্ষিণাঞ্চলকে মোটামুটি ভালো সংগ্রহ এনে দেন সাত নম্বর ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেন ১২১ বলে ১১ চার ও দুই ছক্কায় ৮৬ রান। ঘুর্ণি বলে ১২১ রানে ৪ উইকেট নেন এনামুল হক জুনিয়র, তিনটি নেন পেসার মাহমুদুল হাসান।
পূর্বাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, রাজশাহী
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৪৭৩।
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : (আগের দিন শেষে ৮৯/৪) ৮১.১ ওভারে ২৫৮ (রকিবুল ৬৬, সোহান ২২, মেহেদি ৮৬, শফিউল ০, রাজ্জাক ২২, রুবেল ৬, আল আমিন ০*; মাহমুদুল ৩/৪৩, হাসান ২/২৫, সাইফ ১/৪৪, এনামুল জুনিয়র ৪/১২১, রেজা ০/১৬)।
দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস : (ফলো অন) ৪০ ওভারে ১৩৫/০ (এনামুল ৪৬*, শাহরিয়ার ৮১*; হাসান ০/১৮, মাহমুদুল ০/৫৪, আফিফ ০/৬, সাইফ ০/৯, এনামুল ০/২৪, রেজা ০/১৬)।
উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, বগুড়া
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২২০। উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৫৫।
মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৫০/৩) ৮৯.৪ ওভারে ৩১৮ (শান্ত ৪২, তাইবুর ৬, শুভাগত ৪৫, মোসাদ্দেক ১০৪, মোশাররফ ৫৪, শহিদুল ০, রবিউল ৯*, আবু হায়দার ১৪; ইবাদত ৪/৮৮, জিয়া ১/৬০, মোহর ৫/৬৯, সানজামুল ০/৬০, নাঈম ০/১৯, ফরহাদ ০/৪)।
উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ২৮৪) ৩.৩ ওভারে ৭/১ (মিজানুর ৭, জুনায়েদ ০*, সানজামুল ০*; শহিদুল ০/২, আবু হায়দার ১/৫)।
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২২০। উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৫৫।
মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৫০/৩) ৮৯.৪ ওভারে ৩১৮ (শান্ত ৪২, তাইবুর ৬, শুভাগত ৪৫, মোসাদ্দেক ১০৪, মোশাররফ ৫৪, শহিদুল ০, রবিউল ৯*, আবু হায়দার ১৪; ইবাদত ৪/৮৮, জিয়া ১/৬০, মোহর ৫/৬৯, সানজামুল ০/৬০, নাঈম ০/১৯, ফরহাদ ০/৪)।
উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ২৮৪) ৩.৩ ওভারে ৭/১ (মিজানুর ৭, জুনায়েদ ০*, সানজামুল ০*; শহিদুল ০/২, আবু হায়দার ১/৫)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।