নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একই মাঠ, একই প্রতিপক্ষ। আগের দিন যেখানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ, সেখানে এদিন ম্যাচ প্রায় একপেশে করেই জিতেছে তারা। আর তার সবটাই সম্ভব হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঘূর্ণি জাদুতে। স্বাগতিকদের প্রথম সারির পাঁচ উইকেট তুলে লক্ষ্যটা রাখেন হাতের নাগালেই। অথচ পাঁচ উইকেট পেতে পারেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি।
গতপরশু হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় সফরকারীরা।
এদিন ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট পান মোসাদ্দেক। রেগিস চাকাভাকে ফেরানোর পর সে ওভারের শেষ বলে তুলে নেন ওয়েসলি মাধেভেরেকে। এরপর পরের তিন ওভারে একটি করে শিকার ধরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। টি-টোয়েন্টি তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্যারিয়ারেই প্রথম ফাইফার তার। আগের দিন এই মাঠে ২০৫ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। মূলত সে কারণে রান আটকাতে ডট বল করার লক্ষ্যে এদিন বল হাতে নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। আর তাতেও সফল হন তিনি। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেন মাত্র ২০ রান। ২৪ বলের ১৫টিই ডট দিয়েছেন তিনি, ‘(পাঁচ উইকেট পেয়ে) আমি দারুণ অনুভব করছি। কখনো কল্পনা করিনি পাঁচ উইকেট পেতে পারি। বোলিং করেছি ডট বলের আশায়। নিজের পরিকল্পনায় স্থির থেকেছি।’
পার্টটাইমার হিসেবে বল করলেও নিজেকে এমনটা ভাবেন না মোসাদ্দেক। পুরাদ¯‘র বোলার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই বল করেন তিনি, ‘আমি যখন বোলিং করি তখন কখনো ভাবি না যে আমি অকেশনাল বোলার। সব সময় আমি ওই দায়িত্বটাই নেওয়ার চেষ্টা করি আমি মূল বোলার হিসেবে বোলিং করছি। যদি খেয়াল করেন দেখবেন উইকেট বোলারদের জন্য খুব বেশি হেল্প বোলারদের জন্য ছিল না। অবশ্যই খুব ভালো উইকেট ছিল। অধিনায়ক যখন বল দিয়েছিল, আমার মাথায় ঘুরছিল কীভাবে রানটা আটকে রাখতে পারি প্রথম থেকে। আগের দিন দেখেছি এই উইকেটে দুইশ রান হয়েছে। ওই জায়গা থেকে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম ১৬০-১৭০ রানে যদি রাখতে পারি অবশ্যই সেটা আমাদের দলের জন্য ভালো। ওই পরিকল্পনাই ছিল। আর কিছু চেষ্টা করিনি।’ এদিন বল হাতে বাংলাদেশের ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন মোসাদ্দেক। আগেরদিন টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি, ‘শুরুতে আমি বোলিং করবো সেটা ম্যানেজমেন্ট ঠিক করে দিয়েছিল। স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু হবে। আমি যখন বোলিং পেয়েছি শুধুমাত্র ভালো জায়গায় বোলিং করতে চেয়েছি। এজন্য সফল হয়েছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।