মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সব থেকে দুর্ধর্ষ এবং অভিজাত গোষ্ঠী ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’কে পাহারা দিতে বসিয়ে রাখা হয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। প্রায় ছ’মাস ধরে উপত্যকার সেনাশিবিরে কোনও দায়িত্ব না দিয়ে অপেক্ষায় রাখা হয়েছে এই ৮০ জন কম্যান্ডোকে।
সূত্রের খবর, এই ৮০ জন কম্যান্ডোকে উপত্যকায় পাঠানো হয়েছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নির্দেশেই। জম্মু ও কাশ্মীরের জনবহুল এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকায় বিভিন্ন অভিযান চালাতে গিয়ে বড় সংখ্যায় মারা যাচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানরা। কম্যান্ডো অভিযান চালানো হলে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে নিখুঁত লক্ষ্যে অপারেশন চালিয়ে জঙ্গিদের কাবু করা সম্ভব হবে, সেই উদ্দেশ্যেই উপত্যকায় পাঠানো হয়েছিল ৮০ জন কম্যান্ডোকে। একই সঙ্গে সরাসরি বিভিন্ন অভিযানে যুক্ত থাকলে কম্যান্ডোদের ক্ষিপ্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ ছ’মাস ধরে তাদের দিয়ে বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করানো হয়। কোনও প্রত্যক্ষ অভিযানে তাদের এখনও পর্যন্ত কোনও ভূমিকা নেই।
গত মাসের শুরুতেই কাশ্মীরে গিয়েছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের ডিরেক্টর জেনারেল সুদীপ লাখটাকিয়া। তিনি দেখা করেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংহের সঙ্গে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, ‘কোনও বাহিনীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তা ঠিক করে রাজ্য প্রশাসনই। আমরা কিন্তু রাজ্যের অনুরোধেই বাহিনী পাঠিয়েছিলাম কাশ্মীরে। আমরা থাকলে যে কোনও অভিযানের গতি ও ক্ষিপ্রতা অনেক বেড়ে যায়।’
এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনা ছাড়াও অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে কাশ্মীরে। প্রতিটি বাহিনীকেই নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। অথচ সব থেকে দুর্ধর্ষ শক্তিকেই রীতিমতো বসিয়ে রাখা হয়েছে। কোনও দায়িত্ব না থাকায় আপাতত বিএসএফের হুমহামা সেনাঘাঁটিতে প্রায় ‘ছুটি’ কাটাচ্ছেন ৮০ জন এলিট কম্যান্ডো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীর উপস্থিতি রয়েছে। তাই নতুন করে আর কম্যান্ডোদের কাজে লাগানোর কথা ভাবছে না জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।
এই বছর জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে সন্ত্রাসের ঘটনা রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৫০টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। মারা গিয়েছেন প্রায় ৮৫ জন নিরাপত্তারক্ষী। সেনার পাল্টা আক্রমণে নিহত হয়েছে প্রায় ২৩০ জন জঙ্গিও। এই রকম পরিস্থিতিতে ৮০ জন কম্যান্ডোকে বসিয়ে রাখার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সূত্র: আনন্দ বাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।