বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে। কোন রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বারিক বিল্ডিং মোড়ে গতকাল (সোমবার) কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর ফলে গতকাল দিনভর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ওই মোড়ে তীব্র যানজট ছিল। গত সপ্তাহে সমন্বয় সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জনদুর্ভোগ লাঘবে নির্বাচনের আগে সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখতে বলেছিলেন। জানুয়ারি মাসের আগে নগরীতে নতুন কোন সড়ক কাটকাটির অনুমতি দেয়া হবেনা বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন মেয়র। সেই ঘোষণাকে আমলে নেয়নি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলে নগরীতে যানজট আরও প্রকট হবে আর তাতে জনদুর্ভোগ বাড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। যানজটের কারণে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তার একাংশ বন্ধ করে খোঁড়াখুঁড়ি করছে শ্রমিকরা। এর ফলে সড়কের দুইপাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভারী যানবাহনের দীর্ঘ জট বারিক বিল্ডিং থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। অন্যদিকে আগ্রাবাদের বাদামতলী মোড় পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা যায়।
দীর্ঘদিন থেকে নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সম্প্রসারণ কাজ চলছে। পোর্ট কানেকটিং রোড এখন কার্যত বন্ধ। বন্দরমুখী বেশিরভাগ ভারী যানবাহন বারিক বিল্ডিং মোড়, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট ও আমবাগান হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাচ্ছে। এ অবস্থায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হলে নগরীতে যানজট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য নগরীর স্টিল মিল সংলগ্ন মহাজন ঘাটা পয়েন্টে সড়কে ঘেরাও করে কাজ শুরু করা হয়েছে। হঠাৎ করে সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সড়কে তীব্র যানজট এবং স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক সিডিএর প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে মাত্র। আর এ কারণে সড়কের একপাশ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। তবে যে এলাকায় কাজ করা হচ্ছে সেখানে কাজের সুবিধার জন্য সড়কের কিছু অংশ বন্ধ করা হচ্ছে। বারিক বিল্ডিং থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাথমিক কাজ চলবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এখন সয়েল টেস্টসহ (মাটি পরীক্ষা) কিছু প্রাথমিক কাজ চলছে, জানুয়ারি থেকে মূল কাজ শুরু হবে। তখন সড়কের একাংশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে।
প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এলিভেটেড প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। বারিক বিল্ডিং থেকে কাটগড় পর্যন্ত প্রথম ধাপের নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। গত ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।