নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় ক্লাব ভারোত্তলনে সোনাজয়ী এক নারী ভারোত্তোলক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় তাকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঘটনার বিবরনসহ জড়িত ফেডারেশনের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারীর মামা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ভারোত্তলন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আতিকুজ্জামান চৌধুরীকে প্রধান করে ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে দৈনিক ইনকিলাবকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ভারোত্তলন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি উইং কমান্ডার (অবঃ) মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি আরো বলেন, আমরা বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর অভিযুক্তকে সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছি। ভারোত্তলনে সোনাজয়ী ওই নারীকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। অভিযোগে থাকা সোহাগের চাকরি তদন্তকালীন স্থগিত থাকবে।
ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বড় ধরনের শক থেকে মেয়েটির প্রায় পাগল হওয়ার অবস্থা। শুরুতে অবস্থা খারাপ থাকলেও এখন অবস্থা উন্নতির দিকেই।
নির্যাতিতা ভারোত্তোলকের মামার ভাষ্য মতে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনের চতুর্থ তলায় ধর্ষণের শিকার হন তার ভাগ্নি। তিনি এ ঘটনায় ভারোত্তলন ফেডারেশনের অফিস সহকারী সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তার ভাষ্য, কয়েক বছর আগে আমি নিজেই ওকে এনেছিলাম ভারোত্তোলক বানানোর জন্য। ১৫ সেপ্টেম্বর খেলা ছিল। যার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর অনুশীলনের জন্য ডেকে আনা হয়। দেখানো হয়েছিল চাকরির লোভও। পুরোনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চারতলায় ডেকে এনে রুম লাগিয়ে দেওয়া হয়। আমার ভাগ্নির সর্বনাশ করেছে সোহাগ আলী। ওকে রুমে নিয়ে আসতে সহায়তা করেছে কর্মচারী মালেক ও আরেকজন নারী ভারোত্তোলক। খেলা থাকলে ঢাকার বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়েরা সাধারণত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অবস্থান করে থাকেন। সেই নারী ভারোত্তোলক গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে অবস্থান করছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি তারা জেনেছেন অনেক পরে। বাড়ি ফেরার পর হতাশাগ্রস্ত ভাগ্নি ব্যাপারটি কাউকে বলেননি। ঘটনার পর গত ১০ অক্টোবর তিনি বাড়ির পেছনের পুকুরে ডুবে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালালে বিষয়টি সামনে আসে। আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর থেকে গ্রামে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়লে ২৩ অক্টোবর গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে মানসিক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। এক দিন পরে নেয়া হয় বেডে। সেখানেই এখন চলছে তার চিকিৎসা। এক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, মামলা হলে বাড়িতে থানা-পুলিশ যাবে। গ্রামে মুখ দেখানো যাবে না। এ ছাড়া টাকা-পয়সার ব্যাপার তো আছেই। ফেডারেশনের পরামর্শে আমরা সব কিছু করতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।