পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাইকোর্টের এজলাসে হাজির হয়ে বিচার চাওয়া সেই ধর্ষিতা কিশোরীর পক্ষে আপিল করা হয়েছে। ‘সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি’ গতকাল রোববার কিশোরীর পক্ষে আপিল করে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ডিভিশন বেঞ্চে আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১৫ জুন একই বেঞ্চে এই কিশোরী তার মাকে নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হন। তিনি সরাসরি আদালতের এজলাস কক্ষের ডায়াসের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। আদালত জানতে চান, কে আপনারা? কী চান? জবাবে ওই কিশোরী নিজের নাম ও পরিচয় দিয়ে জানান, সঙ্গে থাকা নারী মা। তিনি বলেন, আমার বয়স ১৫ বছর। আমি ধর্ষণের শিকার। একজন বিজিবি সদস্য আমাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু নীলফামারীর আদালত (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল) তাকে খালাস দিয়ে দিয়েছে। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের টাকা পয়সা নেই। আমরা আপনার কাছে বিচার চাই। আদালত ওই কিশোরীর কাছে জানতে চান, তার কাছে মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আছে কি-না? তখন কিশোরী মামলার কাগজ আছে বলে আদালতকে জানান। এ সময় আদালত উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে লিগ্যাল এইডের (সুপ্রিম কোর্ট শাখার) কোনও আইনজীবী আছেন? ওই সময় সেখানে উপস্থিত সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড’র আইনজীবী বদরুন নাহার নিজের পরিচয় দিয়ে কিশোরীর পক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নেন। এরই ধারাবাহিকতায় কিশোরীর পক্ষে আপিল করেন তিনি।
অ্যাডভোকেট বদরুন নাহার জানান, নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার এক ভ্যানচালকের সন্তান ওই কিশোরী। ধর্ষণের অভিযোগ এনে বিজিবি সদস্য আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর মামলা করেন কিশোরীর মা। মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য আক্তারুজ্জামান ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে সৈয়দপুর শহরের সাজেদা ক্লিনিকে তার বোনের সন্তান হয়েছে বলে ওই কিশোরীকে জানায়। নবজাতককে দেখানোর কথা বলে তার বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে বিজিবি সদস্য মোটরসাইকেলে করে শহরে নিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় বোন তাদের মাকে জানায়, আক্তারুজ্জামানের বোন তাকে (ভুক্তভোগীর বড় বোন) জানিয়েছে যে, (ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে) তার ছোটো মেয়ে (ভুক্তভোগী কিশোরী) আজ ফিরবে না। পরদিন সকাল ৮টায় আক্তারুজ্জামানের বোন ভুক্তভোগী কিশোরীর জন্য জামা নিতে তাদের বাড়িতে আসে। মাংসের ঝোল লাগায় আগের দিন পরে থাকা জামাটি ধুয়ে দেয়া হয়েছে বলে আক্তারুজ্জামানের বোন কিশোরীর ঘর থেকে তার আরেকটি জামা নিয়ে যায়। ধর্ষণ শেষে রাত ৯টার দিকে আক্তারুজ্জামান মোটরসাইকেলে করে ভুক্তভোগী কিশোরীকে তার বাড়িতে রেখে যায়।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গত ১৭ মে আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। মূলত, ওই কিশোরীর সঙ্গে যা ঘটেছে তা খুবই কৌশলে ও পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। মেয়েটির বাসা থেকে জামা নিয়ে তা বদলে ফেলা হয়েছে। মেয়েটিকে কোনও কিছুর সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো এবং যৌন নিপীড়নের প্রমাণ মেডিক্যাল রিপোর্টে কিছুটা উঠে এসেছে। জামা ধুয়ে দেয়ার মাধ্যমে মূলত, কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত বিনষ্ট করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট বদরুন নাহার বলেন, ইতোমধ্যে মামলার সব নথি হাতে পেয়েছি। চলতি সপ্তাহে আমরা বিচারিক আদালতে আসামিকে অব্যাহতির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।