মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাগরে হারিয়ে যাওয়ার ৪৯দিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। এই ৪৯দিন একাকী উত্তাল সাগরে জীবন-সংগ্রাম করে টিকেছিল ১৮ বছরের সেই কিশোর। ইন্দোনেশিয়ার সাহসী সেই কিশোরের নাম আলদি।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি-কে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে টিকে থাকার সেই অভিজ্ঞতা শুনিয়েছিল আলদি। সাগরে হারিয়ে যাওয়া ও এরপর কাঠের ভেলায় ভেসে থাকার পর বিস্ময়করভাবে তার উদ্ধার পাওয়ার হার মানায় গল্পকেও। সে বলেছিল, ‘এমন অনেক মুহূর্ত এসেছে এই ৪৯ দিনে যখন তার কাছে মনে হয়েছে জীবনের এই বুঝি অবসান ঘটে গেলো। আমি ভাবিনি যে কখনো আর ফিরে আসতে পারবো। কিংবা বাবা মাকে আবার দেখতে পাবো। কখনো কখনো মাথায় আত্মহত্যার চিন্তাও এসেছে।’
কাঠের ভেলার ওপর বানানো মাছ ধরার একটি ফাঁদ স্থানীয়ভাবে যার নাম ‘রমপং’ এবং সেখানেই কাজ করতো আলদি। এই ফাঁদে একজন বার্জের সাথে সংযোগ রশিটি ধরে রাখতো। আরও তিনটি রশি দিয়ে ভেলাটিকে নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রাখা হতো।
আলদি যেই ভেলাটিতে ছিলো তার অবস্থান ছিলো ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপের উপকূল থেকে ১২৫ কিলোমিটার দুরে। সে এটিতে ভেসে পথ হারিয়ে চলে গিয়েছিলো তার মূল অবস্থান থেকে প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার দুরে।
আলদি জানায়, ‘বেঁচে থাকার জন্য আমি মাছ ধরেছি। কাঁচা কিংবা সেদ্ধ যেভাবে পারি খেয়েছি। সবই খেয়েছি সাগরে ভেসে থাকার সময়।’ সবসময় কান্না করত বলে আলদি জানায়, ‘বাবা মা, ভাই বোনের কথা ভাবতাম। এরপর শুধু কাঁদতাম। প্রার্থনা করতাম, বাইবেল পড়তাম। ওই ভেলায় সাথে একটা বাইবেল আমি রাখতাম।’
আলদিকে উদ্ধার করে পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ। যদিও এর আগে আরও অনেকগুলো নৌকা তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। সে জানায়, ‘আমি তাদের সাহায্য চাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। তখন কিছুই বলতে পারিনি আমি। শুধু কেদেঁছি। উদ্ধারের পর বাবার সাথে ফোনে কথা বলি।
সাগরে প্রতিকূল অবস্থা থেকে উদ্ধারের ঘটনা এবারই আলদির প্রথম নয়। এতদিনের না হলেও আগেও এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিলো তার। কাজের জন্যই এর আগেও অন্তত তিন দফায় সাগরে এভাবে আটকা পড়েছিলো সে। তবে এবার উদ্ধার হওয়ার পর সে বলেছে, ‘উদ্ধার হওয়ার পর আমি দারুণ খুশী। আমি আর সাগরে কাজ করতে চাইনা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।