মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে অপেক্ষাকৃত নতুন শহর লে কায় কাও-এর কাছে একটি মরচে ধরা ডিজেলচালিত পানি তোলার পাম্প থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে। স্থানীয় জলাধার থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে শহরটির অবস্থান। গৃহযুদ্ধের কারণে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ দুই বছর আগে নতুন গড়ে ওঠা শহরটিতে ফিরে এসেছে। কিন্তু তাদের এই ফিরে আসা খুব একটা মসৃণ নয়।
গত ছয় দশকের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বাস্তচ্যুত মানুষ সুপেয় পানির সরবরাহ নিয়ে সংগ্রাম করছে। গ্রীষ্মকালে তাদের এই সংগ্রাম আরো তীব্র হয়। কাজের তীব্র অভাব। দুর্বল পরিকল্পনা মানুষের দুর্দশা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। ফেরত আসা মানুষের মধ্যে কারেন জাতিগত সংখ্যালঘুরাই বেশি। এই গোষ্ঠী ১৯৪৯ সাল থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামীদের সংঘাতের একটি বড় কেন্দ্র কারেন বা কাইয়িন রাজ্য।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে ফেরত আসা মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিরাপত্তা। বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ চলতে থাকায় এ মাসে আরেকটি কারেন উদ্বাস্তু দলের ফেরত আসার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রায়ই দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি (এনসিএ) লঙ্ঘন করে কোন অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। ২০১২ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও কারেন রাজ্যের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র গ্রুপ কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নে মধ্যে এই চুক্তি হয়। কারেন রাজ্যে পাঁচটি সশস্ত্র গ্রুপ রয়েছে: কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ), ডেমক্রেটিক কারেন বেনিভোলেন্ট আর্মি (ডিকেবিএ), কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন (কেএনডিও), কেএনএলএ পিস কাউন্সিল ও বর্ডার গার্ড ফোর্স (বিজিএফ)। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন গ্রুপের সংঘর্ষ উদ্বাস্তুদের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করেছে।
লে কায় কাও আবাসন প্রকল্পটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখেছিলেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু অনেক স্থানীয় বলছেন এই প্রকল্প তাদের তেমন সান্তনা দিতে পারেনি।
তাছাড়া আগে সংঘাত হয়েছে এমন এলাকাগুলোতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরিণ উন্নয়নের জন্য ভূমি বাজেয়াপ্তকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিসমৃদ্ধ এই অঞ্চলটিতে সরকার যেসব জমি কেড়ে নিয়েছে তা আর ফেরত পাওয়ার আশা করছে না হাজার হাজার গ্রামবাসী।
কারেন বন বিভাগের কর্মকর্তা পাদোহ মান বাতুন বলেন, মিয়ানমার সরকারসহ অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ব্যবসা এবং কারখানা স্থাপন করতে চায়। কারেন সেনাবাহিনীতে কাজ করা সাবেক এই সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী অতীতের মতো কথা নাও রাখতে পারে। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।