Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ-কুয়েত ও ওপেক অর্থায়ন এগিয়ে চলছে লেবুখালী সেতু নির্মাণ

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কুয়েত উন্নয়ন তহবিল এবং ওপেক-এর সহায়তায় ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালী এলাকায় পায়রা নদীর ওপর লেবুখালি সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এটি নির্মিত হলে রাজধানীসহ সন্নিহিত এলাকা ছাড়াও বরিশাল থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘœ ও সহজতর হবে। সেতু নির্মাণে কুয়েত উন্নয়ন তহবিল এবং ওপেক ফান্ড ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৯৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০ ফুট উচ্চতার চার লেনের এ সেতু নির্মাণে প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ ৮৯৫ কোটি টাকা। সেতুর জন্য ৬শ’ মিটার সংযোগ সড়কসহ টোল প্লাজাও নির্মিত হচ্ছে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে লেবুখালি সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
এদিকে, ওপেক-এর কাছ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহে গতবছর ৬ এপ্রিল একটি স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মূল প্রকল্প সংক্রান্ত ডিপিপি একনেক-এর প্রথম অনুমোদন লাভ করে ২০১২-এর ৮ মে। কিন্তু ২০০৬ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক উদ্যোগকালীন খসড়া প্রকল্প ব্যয় ৪৮০ কোটি ধরা হলেও ২০১৬ সালে দরপত্র গ্রহণকালে তা প্রায় তিনগুন বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রকল্পটির সংশোধিত ব্যয় ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকায় উন্নীত হওয়ায় গত বছর ২০ জুন ১ম সংশোধিত ডিপিপি পুনরায় একনেক-এর অনুমোদন লাভ করে।
দরপ্রস্তাব গ্রহণ ও মূল্যায়নশেষে সর্বনিম্ন দরদাতা চীনের ‘লংজিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কোম্পানী লিমিটেড’এর সাথে ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই সড়ক অধিদপ্তরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইতোমধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৪৯ ভাগ বলা হলেও বাস্তব অগ্রগতির পরিমাণ ৩৫ ভাগ বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে পায়রা সেতুর বরিশাল ও পটুয়াখালী প্রান্তের ভায়াডাক্ট সেতুর সমস্ত পাইল, পিয়ার, পিয়ারক্যাপ এবং এ্যাবাটমেন্ট-এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বরিশাল প্রান্তের গার্ডার নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ৫২টি পাইলের মধ্যে ৩২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৫টি পিয়ারের ৩টির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ, ভারত, কুয়েত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে।

লেবুখালীর কাছে পায়রা নদীর ওপর এ সেতুটি নির্মিত হলে তা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পায়রা সমুদ্র বন্দরের সাথে সারা দেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। ফলে দেশের অন্য দুটি সমুদ্র বন্দর ছাড়াও বেনাপোল ও ভোমড়া স্থল বন্দরের সাথে পায়রা সমুদ্র বন্দরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ সহজতর হবে। সড়ক পথে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারাদেশের সাথে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সড়ক পরিবহন সহজতর করবে। রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটার দুরত্ব কক্সবাজারের অর্ধেকে নেমে আসবে।
একদল চীনা প্রকৌশলীর তত্ত¡াবধানে বিপুল সংখ্যক প্রকৌশলীসহ নির্মাণ শ্রমিক লেবুখালীর পায়রা সেতু এলাকায় দিনরাত কাজ করছে। ২০২০-এর জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজশেষে দ্রæততম সময়ের মধ্যে পায়রা সেতু খুলে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আহমদ শরিফ সজিব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেতু

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ