পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রত্যাবাসনের আগে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসার সুযোগ করে দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা যাতে স্বাধীনভাবে স্বভূমিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেজন্য তাদের এই সুযোগ দেয়ার পক্ষে সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, চলাচলের স্বাধীনতা, সেবা পাওয়ার সুযোগ, দালিলিক বিষয় ও জীবিকার সুযোগের ক্ষেত্রে কী অগ্রগতি হয়েছে তা মিয়ানমারের দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ।” মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে এসব পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইউএনএইচসিআর। ইউএনএইচসিআর’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য কী অগ্রগতি হয়েছে তা বোঝার জন্য তাদের হাই কমিশনার এটার ওপর জোর দিয়েছেন। “এর মধ্য দিয়ে শরণার্থীরা স্বাধীনভাবে রাখাইনে পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে এবং অন্য শরণার্থীদের কাছে সে তথ্য প্রচার করতে পারবে। “ইউএনএইচসিআর এই সফরে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত এবং রাখাইন স্টেটে শরণার্থীসহ সব জনগোষ্ঠীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী সমাধান লাভে সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।” রোহিঙ্গারা ফিরতে অনীহা জানানোয় গত ১৫ নভেম্বর তাদের মিয়ানমারে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি। গত বছর অগাস্টের শেষ থেকে কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ার পর তাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। তবে এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের মতামতের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে এবং স্থায়ীভাবে রাখাইনে তাদের বসতিতে ফিরতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরিতে দেশটির সরকার ও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে। ইউএনএইচসিআর’র পক্ষ থেকেও এই কথাই বলা হচ্ছে। “রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরির দায় মিয়ানমারের ওপর,” বলেছে জাতিসংঘ সংস্থাটি। এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য সব প্রচেষ্টা নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। পাশাপাশি কফি আনান নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের সংকটের মূল কারণ দূর করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়ারও আহবান জানিয়েছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়া নিশ্চিতের প্রতি মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি এবং ফিরে আসাদের গ্রহণে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলোকে স্বাগত জানায় ইউএনএইচসিআর। রোহিঙ্গাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে মিয়ানমার সরকারকে সহযোগিতা করতেও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে তারা। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।