Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচন অপরিহার্য জম্মু ও কাশ্মিরে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মিরের গভর্নর সত্য পাল মালিক বুধবার রাতে হঠাৎ করে রাজ্য বিধান সভা ভেঙে দিয়েছেন। একটি সরকার গঠনের সম্ভাবনা সৃষ্টির মধ্যে অতি নাটকীয়ভাবে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন রাজ্যে নতুন নির্বাচন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সম্ভবত আগামী এপ্রিল হবে ওই নির্বাচন। মিডিয়াকে মালিক বলেন, বিপরীতমুখী আদর্শের দলগুলো একসাথে হয়ে সরকার গঠন করতে চাওয়ায় তিনি বিধান সভা ভেঙে দিয়েছেন। তার মতে, এ ধরনের সরকার স্থিতিশীল হতে পারে না।
অবশ্য বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে গভর্নর পদে তার দায়িত্ব গ্রহণকে রাজনৈতিক নিযুক্তি হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। সমালোচকেরা বলছেন, গভর্নরের মাধ্যমে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে। এর আগে পিডিপির সাথে মিলে চার বছর সেখানে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি।
পিডিপি বলেছিল, তারা ন্যাশনাল কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাথে মিলে সরকার গঠন করতে চায়। এখন দলটি গভর্নরের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত জুন থেকে উত্তপ্ত রাজ্যটিতে গভর্নরের শাসন চলছে। পিডিপি-বিজেপি সরকার থেকে বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করলে সরকার ভেঙে গিয়েছিল। তবে রাজ্য বিধান সভায় পিডিপির রয়েছে সর্বোচ্চ ২৮টি আসন। ৮৭ সদস্যবিশিষ্ট বিধান সভায় তারা এখন কংগ্রেস (১২) ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের (১৫) সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পিডিপির সভাপতি ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি রাজভবনে দ্রুত এক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, সরকার গঠন করার মতো সমর্থন তার আছে। সরকার গঠন করতে ৪৪ জন এমএলএর সমর্থন লাগলেও তার আছে ৫৬ জন এমএলএ।
তবে সাথে সাথেই বিচ্ছিন্নতাবাদী থেকে মূলধারার রাজনীতিতে আসা পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজাদ লোন দাবি করেন, তার প্রতি বিজেপির ২৫ জন এমএলএর সমর্থন রয়েছে। তিনি তাকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিতে গভর্নরের প্রতি আহ্বান জানান। এমনকি ইমরান রেজা আনসারির নেতৃত্বে পিডিপির বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী সদস্যও সাজাতের সাথে যোগ দিতে প্রস্তুত বলে জানানো হয়। এই প্রেক্ষাপটে গভর্নর রাজ্য বিধান সভা ভেঙে দেন বলে জানানো হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিষদ ভেঙে দেয়ায় কংগ্রেস, পিডিপি ও ন্যাশনাল কংগ্রেসের জন্য স্বস্তিই সৃষ্টি হয়েছে। চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পিডিপির সাথে জোট গড়লে ন্যাশনাল কংগ্রেসকে বেশ ঝামেলাতেই পড়তে হতো। আবার মেহবুবা মুফতিহীন সরকার গঠিত হলে পিডিপিও খারাপ অবস্থায় পড়ে যেত। এখন নির্বাচনের মাধ্যমেই রাজ্যটির পরবর্তী শাসকদল নির্ধারিত হবে। ভেঙে দেয়া না হলে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পরিষদ বহাল থাকত। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ