মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরান দাবি করেছে, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও ওই অঞ্চলের সাগরে মোতায়েন করা যুদ্ধাজাহাজগুলো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যেই রয়েছে। বুধবার (২১ নভেম্বর) দেশটির সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম তাসনিম নিউজকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনও পদক্ষেপ নেয় তাহলে আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান পাল্টা হামলা চালাতে সক্ষম। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প যে ইরানি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তার পেছনের একটি কারণ চুক্তিতে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিধি না থাকা।
হাজিজাদে বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যাতে আরও নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে পারে, সেজন্য সেগুলোকে তারা আরও আধুনিক করে তুলেছেন। এর ফলে কাতারে অবস্থিত আল উদেইদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত আল ধাফরা ও আফগানিস্তানে অবস্থিত কান্দাহার মার্কিন ঘাঁটিতে চাইলেই হামলা চালাতে পারে ইরান।
আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের ভাষ্য, তারা যে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চালু রেখেছে তা শুধু আত্মরক্ষার জন্য। কিন্তু তাদের তেল রফতানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জারির পর হরমুজ প্রণালি দিয়ে যাওয়া-আসা করা তেলবাহী জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর হুমকি দিয়েছিল ইরান। আর এখন মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার সক্ষমতার কথা জানান দিচ্ছে তারা। বস্তুত,গত অক্টোবর মাসে ইরানি সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে হামলার ঘটনায় ২৫ ইরানি নিহত হলে দেশটি সিরিয়াতে থাকা ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর অবস্থানের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল।
ইরানের সঙ্গে বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের মধ্যে হওয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পারমাণবিক অস্ত্র না বানানোর বিনিময়ে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল ওই চুক্তিতে। ট্রাম্পের আপত্তি, চুক্তিতে ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে এবং সিরিয়া, ইয়েমেন লেবানন ও ইরাকের ‘ইরানের প্রক্সি ওয়ার’ বন্ধের যথাযথ শর্ত অনুপস্থিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।